ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫

নান্দনিক দেশ গড়তে চান ফরিদা খানম

জালালউদ্দিন সাগর, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ১২:৩৭ এএম

নান্দনিক দেশ গড়তে চান ফরিদা খানম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সাজানো সারি সারি বাহারি সব ফুল। কোনো সারিতে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কোনো সারিতে রয়েছে গোলাপ-গাঁদাও; তার সাথে নানা জাতের বিদেশি সব ফুল। সাগরপাড়ে গোছানো জেলা প্রশাসনের ফুল উৎসব। লাখো ফুলের সৌরভে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জন্ম হওয়া নতুন বাংলাদেশকে সাজাতে চান চট্টগ্রামের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। তিনি বলেন, যাদের রক্তে এই নতুন বাংলাদেশের জন্ম, তাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ফুলের সৌরভে স্নিগ্ধ একটি বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চাই।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ফুল উৎসব সম্পর্কে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন তিনি। তিনি আরও বলেন, হাজারো তরুণের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে ফুলের সৌরভে মুখরিত হতে হবে। পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

আজ শনিবার থেকে দেশি-বিদেশি ১৩৬ প্রজাতির ফুলের প্রদর্শনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কে চট্টগ্রামে ডিসি পার্কে তৃতীয়বারের মতো শুরু হলো দেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎসব। চলবে মাসব্যাপী। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের প্রথম এই ফুল উৎসবকে গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়া সব শহিদকে উৎসর্গ করেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

১৯৬ একর জায়গাজুড়ে নানা ফুলের নান্দনিকতায় সাজানো হয়েছে ডিসি পার্ককে। যেখানে রয়েছে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ-গাঁদাসহ দেশি-বিদেশি ১৩৬ প্রজাতির ফুল।

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, এবারের ফুল উৎসব বিগত সময়ের চেয়ে বড় পরিসরে হচ্ছে। এবারই প্রথম উৎসবে যুক্ত হয়েছে ভাসমান ফ্লাওয়ার গার্ডেন। এই ফুল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রায় দেড় হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত ফুল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাসব্যাপী আয়োজিত এ ফুল উৎসবের বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মালটিকালচারাল ফেস্টিভ্যাল, গ্রামীণ মেলা, বই উৎসব, ঘুড়ি উৎসব, ফুলের সাজে একদিন, পিঠা উৎসব, লেজার লাইট শো, ভিআর গেম, মুভি শো, ভায়োলিন শো, পুতুল নাচসহ নানা রকমের আয়োজন।

উল্লেখ্য, একসময় মাদকসেবীদের আখড়া ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের এই জায়গা। বসত মাদকের হাট। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে মাদকের সেই আস্তানা গুঁড়িয়ে দেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান। বেদখল হওয়া সরকারের ১৯৪ একর জায়গা উদ্ধার করে সেখানকার জলাশয় আর পরিত্যক্ত ভূমিতে গড়ে তোলেন ডিসি পার্ক।

আরবি/জেডআর

Link copied!