বসে নেই কৃষকরা। ধান কাটার পর রসুন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে শুরু করেন।
ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ট্রাক্টর ব্যবহার করে রাসায়নিক ও জৈবসার মিশিয়ে জমি প্রস্তুত করা হয় তারপর রসুনের কোয়া মাটিতে রপন করা হয়।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬৯০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছিল যা ২৩-২৪ অর্থ বছরে বেড়ে ৯০০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হচ্ছে। চলতি রবি শস্য মৌসুমে বছরের তুলনায় এবার রসুন চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেচ, সার-কীট নাশক, বীজ, শ্রমিকসহ সার্বিক ব্যয় বাড়লেও গত বছর ভালো দাম পাওয়া রসুন চাষে কৃষকের আগ্রহ আরও বেড়েছে।
চারঘাট উপজেলার কৃষক আরমান আলী বলেন, গতবারের চেয়ে এবার সার, বীজ, মজুরির দাম একটু বেশি। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি দুই বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি।
আবহাওয়া ভালো থাকলে বিঘা প্রতি রসুনের ফলন হবে ১৮ থেকে ২০ মণ। আশা করছি, খরচ বাদে বিঘায় লাভ হবে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন চাষে রোগ-বালাইসহ খরচও কম হয়। অল্প খরচে লাভ বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুন হাসান বলেন, বাজারে রসুনের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকদের রসুন চাষে আগ্রহ বেড়েছে। রসুন দিয়ে আচার, ঔষধ সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যার কারণে রসুনের দাম বেড়ে গিয়েছে ফলে কৃষকরা এই চাষে ঝুকে পড়েছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :