বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম

লালমনিরহাটে আগাম জাতের আলু বিক্রি করে লাভবান কৃষকরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম

লালমনিরহাটে আগাম জাতের আলু বিক্রি করে লাভবান কৃষকরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আগাম জাতের আলু চাষ করে বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা। জেলার বিভিন্ন ‌বাজারে ইতিমধ্যেই আগাম জাতের নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। এবার আগাম জাতের আলুর দাম গতবারের তুলনায় বেশ ভালো পাওয়ায় কৃষকরাও  লাভবান হচ্ছেন। পাইকারি আড়ৎদার ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৫২ টাকায় কিনে এনে  তা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৫৫-৫৭ টাকা দরে আলু বিক্রি করছেন।  আর খুচরা ব্যাবসায়ীরা ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করছেন প্রতি কেজি আলু ৬০-৬৫ টাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, আগাম আলু সহ চলতি মৌসুমে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ১৭ মেট্রিক টন এবং মৌসুমী আলুর প্রতি হেক্টর জমিতে ২৮.৫ থেকে ২৯ টন উৎপাদনের  প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

আলুর দাম নিয়ে সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের চকচকার পাড়া এলাকার কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পেয়েছি। ৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারদের কাছ থেকে জমিতেই বিক্রি করেছি। তাছাড়া আলু রোপণের ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে এই আলু ক্ষেত থেকে তোলা যায়। আগাম ভালো দাম পেয়ে আমাদের মত কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে । কৃষক জাহিদ হাসান (৪০) বলেন, প্রতিবিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু ২২-২৫ বস্তা হয়ে থাকে যা  পরিমাণে ৩৫-৩৭ মণ পর্যন্ত। এছাড়াও মৌসুমের শুরুতেই বাজারে আসায় এই আলুর চাহিদা থাকে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।

জেলা শহরের গোসালা বাজারের পাইকার আড়ৎদার আওলাদ হোসেব বলেন, কৃষকদের ক্ষেত থেকে আলু কিনতে হয় পাল্লা প্রতি (৫ কেজি) ২৪০-২৫০ টাকায়। সেই আলু আবার বাজারে নিয়ে এসে খুচরা দোকানদারদের কাছে খরচপাতি সহ পাল্লা প্রতি বিক্রি করতে হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়। তিনি আরো বলেন, কিছুদিনের মধ্যে মৌসুমী আলু বাজারে চলে আসলে আলুর দাম আরো কমে আসবে।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুল আরিফিন বলেন, আগাম আলু চাষের জন্য এ উপজেলার জমি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় আগাম ধান কর্তনের পর এখানকার কৃষকেরা এক খন্ড জমিও ফেলে রাখে না। এ ছাড়া বছরের পর বছর যে জমিগুলো পতিত থাকতো গত কয়েক বছর থেকে সে জমিগুলোতে আগাম জাতের আলু চাষ করে ইতিমধ্যে বিপ্লব ঘটিয়েছে এখানকার কৃষকেরা। তিনি আরো বলেন, এবারের চলতি মৌসুমে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী এ জেলায় আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ১৭ মেট্রিক টন এবং মৌসুমী আলুর প্রতি হেক্টর জমিতে ২৮.৫ থেকে ২৯ টন উৎপাদন হতে পারে। 
 

আরবি/জেডআর

Link copied!