গত কয়েক বছর থেকে আমের দাম ক্রমাগত কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার আম চাষিরা। ফলে অন্য ফসলে ঝুকেছেন আম চাষিরা।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাগান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আমের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে আম গাছ কেটে ফেলছেন। আবার বাজারে আমের মূল্যও কম। বাইরে থেকে এলাকায় আগের মতো বেপারিরা আম কিনতে আসেন না। আবার কোনো কোনো বছর লোকসানও গুণেছেন। তাই আম গাছ কেটে অন্য ফসল করছেন বলে জানান তারা।
স্থানীয় আমচাষিরা জানিয়েছেন, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় পরিচর্যা খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে আমের দাম দিন দিন কমেছে। ১৪ থেকে ১৫ বছর আগে যে আম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে, সেই আম গত কয়েক বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। তাই সমপরিমাণ জমিতে আমবাগানের চেয়ে অন্য ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
আম চাষি বলেন, তার চার বিঘা আমের বাগান কেটে গম চাষ করছি। গমের চাষ করে লাভবান হচ্ছি। আমের চেয়ে অন্য যেকোনো ফসল লাভজনক। তাই অনেক কৃষক আম বাগান কেটে ফেলছেন।
আরেক আম চাষি বলেন, টানা কয়েক বছর থেকে আমের দাম কমতে থাকায় লোকসানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই তিনি আম বাগান কেটে বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুন হাসান বলেন, চারঘাট উপজেলায় বর্তমানে ৪ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। ইতিপূর্বে ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান ছিলো কিন্তু আমের ন্যায্য মূল না পাওয়ায় কিছু বাগান মালিক আম বাগান কেটে ফেলে অন্যান্য ফসল করছে। তবে ঐ সমস্থ বাগান মালিকদের আম বাগান ধ্বংস না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবং উন্নত জাতের আম গাছ লাগানোর জন্য বলা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :