বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

সার সিন্ডিকেটে দিশাহারা কৃষকরা

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

সার সিন্ডিকেটে দিশাহারা কৃষকরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় আলু চাষের মৌসুমে কৃষকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সারের বাজারে চলছে সিন্ডিকেটের দাপট। কৃষকদের অভিযোগ, সারের ডিলাররা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকারের নির্ধারিত মূল্য ছাড়িয়ে চড়া দামে সার বিক্রি করছে। ডিএপি ও টিএসপি সারের সংকট এতটাই প্রকট যে অনেক কৃষক দিনের পর দিন ডিলার ও খুচরা দোকানদারদের নিকট ধন্যা দিয়েও নির্ধারিত মূল্যে সার পাচ্ছেন না।

বাড়তি দামের কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর বিঘাপ্রতি আলু উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু অসাধু ডিলার ও ব্যবসায়ী মজুদকৃত সার রেখেছে। আবার কেউ কেউ গোডাউনে সার রেখেও দাবি করছে, সার নেই। মধ্যস্বত্বভোগীরা এই সংকটের সুযোগ নিয়ে বেশি দাম দিয়ে বিক্রির শর্তে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করছে। এতে কৃষকরা অসহায় ও দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

উপজেলার কলেজ বাজারে সার কিনতে এসে কৃষক বাবর আলী আক্ষেপ করে বলেন, নির্ধারিত মূল্যে সার চাইলেও দিতে চায় না, কিন্তু ১হাজার ৭৫০ টাকা দিলে তবেই টিএসপি  সার মেলে।

পৌর সভার কেশবপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আলু ও সরিষা মিলে বিঘা আড়াই জমিতে চাষ করছি। সার নিতে এসে বিপাকে পড়ে অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। ডিএপি সরকারি নির্ধারিত মূল্য ১হাজার ৫০টাকা । অতিরিক্ত  ৪শ ৫০টাকা বেশি দিয়ে প্রতি বস্তা কিনতে হচ্ছে। আগে বীজ আলু দামও বেশি ছিল এখন সারও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা দিশাহারা হয়ে পরেছি।

খুচরা সার ব্যবসায়ী মো. আমিরুল ইসলাম মুন্ট বলেন, আমাদেরকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় কলেজ বাজারে সকল খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রায় ২শত ৫০ বস্তা সার ডিলাররা খুচরা বিক্রির জন্য দিবে। আমরা ডিলারদের কাছে টাকা জমাও দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা টাকা ফেরত দিয়ে বলে সার নেয়। কৃষকদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে আমরা নিজেরাও বেশি দামে  বিভিন্ন জায়গা থেকে সার কিনে তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরাও সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়।

সরকার অনুমোদিত বিএডিসি ডিলার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি নভেম্বর মাসে ডিএপি এমওপি ও টিএসপি মোট ৭টন সার বরাদ্দ পেয়েছিলাম সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার গুলো বিক্রি করে ফেলেছি। বর্তমানে আমার ঘরে এমওপি ছাড়া কোনো সার নেই। কিন্তু কৃষদের সারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং বাজারে বেশি দামে সার বিক্রি হচ্ছে।

বিসিআইসি ডিলার মো. নান্নু সরদার বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কম সার পেয়েছি। সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করছেন বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, আশা করছি নতুন বরাদ্দ এলে সার সংকট কমবে এবং কৃষকরা স্বস্তিতে আলু চাষ করতে পারবেন ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য নিরসনে প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গোপীনাথপুর বাজারের মা হাজেরা ট্রেডার্স এর মালিক আমিনুল ইসলাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেওয়ায় তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলায় বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!