বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে কৃষকের আউশ ধানের সোনালী স্বপ্ন। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজ ঘেরা মাঠে বাতাস দুলছে সোনালী রঙের ধান। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের আগামী স্বপ্ন লুকিয়ে আছে সোনালী ধানে। শরতের রোদ বৃষ্টির খেলায় সবুজ ঘেরা মাঠে চারিদিকে আভা ছড়িয়ে পরছে আউশ ধানের সমারোহ। কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। সবুজ ঘেরা মাঠে আউশের ফলন দেখে বারবার ফিরে তাকায় কৃষক। দুপচাঁচিয়া উপজেলার অফিস সূত্রে জানায়, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে আউশ ধানের চারা
রোপন করেছেন। চারাগুলো এখন বড় হয়ে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজ আকার দৃশ্যমান। মাঠজুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।
উপজেলা সদরে আলোহালী ব্লকে দামিয়াপাড়া গ্রামের মো. আ. মতিন মিয়ার নিজ জমির পরিমান ৩৩ শতক, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আউশ ধান জাত, ব্রি ধান-৯৮ বীজ বিএডিসি অফিস হইতে বীজ সংগ্রহ করে তার নিজ জমিতে রোপন করেন। সার ও বীজের কোন সংকট না হওয়ায় এবার প্রাকৃতিক কোন দুযোর্গ নেই বলে আমাদের এই
এলাকায় সব চেয়ে বেশী পরিমান আউশ ধানের ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই উপজেলায় মোট ২৫শ,হেক্টর জমিতে আউশ ধানের ফলনে-২.৫৬ মেঃ টন/হেঃ চালের উৎপাদনের সম্ভাবনাময়। কৃষক আ. মতিন মিয়ার ৩৩ শতক জমিতে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের রাজস্ব অর্থায়নে প্রদর্শনী মাঠ পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা যারীন তাসনিম নিলয়, সংগে ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ও কৃষক আ. মতিন মিয়া।
এবার আউশের ফলন বৃদ্ধি হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাজেদুল আলম বলেন,এই উপজেলায় একটু বিলম্ব হলেও কৃষকেরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আউশ ধানের ফলন পেয়েছে। বিশেষ করে এই উপজেলায় সার ও বীজের কোন কৃত্রিম সংকট নেই।
এছাড়াও উপজেলায় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় মোট ১১ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন হয়েছে। এর মধ্যে উফসি ১১ হাজার ২শ হেক্টর, হাইব্রিড ৫০০শ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ৭শ ৮০ মেট্রিক টন।
উপজেলা সদরের পশ্চিম বোরাইপাড়া এলাকার কৃষক হাফেজ আব্দুল হালিম, সাজ্জাদ হোসেন, রশিদ সরদার, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আমষট্ট গ্রামের আফজাল হোসেন, মতিয়ার রহমান দেওয়ান জানান,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সার ও বীজের কোন সংকট সৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের বির্স্তীণ ফলন চোখে দেখবে কৃষকেরা।
আপনার মতামত লিখুন :