শেখ হাসিনা সরকার কোনদিন মানুষ ছিলনা। তারা ছিলো রক্ত পিপাসু ক্ষমতা লোভী। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। যার ফলশ্রুতিতে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বলতে চিনিকল ছিলো। এই চিনি শিল্প কে ঘিরে পঞ্চগড়ের অর্থনিতির চাকা সচল ছিলো। অনেকের আয় রোজগারের অবলম্বন বলতে চিনিকলটিকে জানতো। কিন্তু লোকসানের অজুহাতে চিনিকলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চিনিকল পুনরায় চালুর দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচিতে জাতীয় গনতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র এবং ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার কোনদিন মানুষ ছিলনা। পঞ্চগড় জেলার গণমানুষের আয়োজনে শহরের মিলগেট বাজার পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি অনুৃষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, গন অধিকার পরিষদের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান,কেন্দ্রীয় আখ চাষির প্রতিনিধি-হাফিজুল ইসলাম,পঞ্চগড় চিনি কল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী ছবি, জেলা কৃষক দলের নেতা আব্দুর রাজ্জক, জেলা ছাত্রদল সভাপতি তারিকুজ্জামান তারেক, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান (জাপান) সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুয়েল রানা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ২০২০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নানা অজুহাতে অন্যায়ভাবে পঞ্চগড় চিনিকলসহ দেশের ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এতে দীর্ঘ চার বছর থেকে পঞ্চগড় চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারনে হাজারো শ্রমিক বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ দিন পার করছেন।তৎকালিক সরকার তার প্রভু ভারত থেকে চিনি আমদানি করেছে প্রভাবশালী লুটেরা প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার চিনিকলকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়ে মিলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এই চিনিকলগুলোকে চিনি শিল্প করপোরেশনের ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে চিনিকলগুলো লাভ করলেও লোকসান দেখানো হতো। ২০২০ সালের আগে ১২ কোটি টাকা লাভ করে পঞ্চগড় চিনিকল। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আর্কষণ করে আগামীতে চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম চালু ও পঞ্চগড় জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান চিনিকলটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জোর দাবি জানান তারা। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন।
আপনার মতামত লিখুন :