ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, আখাউড়ায় যাত্রী পারাপার শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, আখাউড়ায় যাত্রী পারাপার শুরু

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ও কসবায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমে যাওয়ায়  বাড়ি ফিরছেন বন্যা দুর্গতরা। তবে তারা বাড়ি ফিরে একেবারেই হতাশ। কিছুই পাচ্ছেন না তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভেগে গেছে বন্যার পানিতে। তবে বন্যার কারণে আড়িয়ল ও খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুটি বাঁধসহ অন্তত ৮টি স্থানে সড়ক ধসে পড়ে। এতে ওইসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে দুই দেশের যাত্রী পারাপারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে গত ২১ আগস্ট আখাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনও। এতে ইমিগ্রেশন সার্ভার ও কম্পিউটার লাইনে পানি প্রবেশ করে। পানি কমার পর লাইন চালু করতে গেলে সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ঢাকা থেকে আইটি এক্সপার্ট টিম এসে সার্ভার পুরোপুরি চালু করলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ খাইরুল আলম বলেন, ‘বন্যার পানি সরে গেলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে যাত্রী পারাপার শুরু করা যাচ্ছিল না। ঢাকা থেকে কারিগরি দল এসে ত্রুটি সারালে সোমবার দুপুর থেকে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

এদিকে জেলার কসবা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে পানিতে প্লাবিত হয়েছিল ৩৭টি গ্রাম। তার মধ্যে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক, বিদ্যানগর, পুটিয়া, খাদলা, মাদলা, বেলতুলি, শ্যামপুর। গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর, সৈয়দপুর, রামপুর ও কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের রহোরামপুর গ্রামে কিছুটা জলাবদ্ধতা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ জানান, আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। হাওড়া নদীর পানি অব্যাহত হ্রাস পাচ্ছে। সোমবার দুপুের ২৪ ঘণ্টায় পানি ১০ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৬৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!