ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

লাকসামে বন্যার পানি নামছে ধীরে এখনও বাড়ি ফেরেনি অনেকেই

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম

লাকসামে বন্যার পানি নামছে ধীরে এখনও বাড়ি ফেরেনি অনেকেই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লা: সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। ২০০৪ সালের মতো ভয়াবহ না হলেও এবারের বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ায় বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ভেসে উঠছে দুর্যোগের ক্ষতচিহ্ন। এ পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে বিএনপি-জামায়াত, প্রবাসী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন খাদ্য ও উপহার সামগ্রী নিয়ে প্রতিদিনই বন্যদুর্গতদের পাশে থাকছেন। লাকসাম উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখনও পানির নিচে। কোনো কোনো গ্রাম থেকে পানি নামছে বেশ ধীরগতিতে। এতে দীর্ঘায়িত হচ্ছে জনদুর্ভোগ। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গবাদি পশুর খাদ্যের তীব্র সংকটে দিশেহারা এখানকার মানুষ। লাকসামজুড়ে গ্রামীণ সড়ক ও অবকাঠামোর অবস্থা করুণ। বিশেষ করে গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা। সড়ক দিয়ে যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। অনেক সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পানি কমলেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। কেউ কেউ নিজ খরচে ঘর নতুন করে নির্মাণ করতে পারলেও অনেকেই চেয়ে আছেন বিত্তশালী ও সরকারি সহযোগিতার দিকে। এ ছাড়া গ্রামীণ সড়কের কারণে এখনও লোকজন সঠিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। এতে সংকট আরও বাড়ছে।

এদিকে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিএনপি-জামায়াত নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও ছাত্র সংগঠনগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান, পানি নামছে ধীরগতিতে। এখন দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। যাদের টাকা-পয়সা আছে তারা নিজেরা ঘরবাড়ি মেরামত করে নিচ্ছেন। তবে যাদের কিছুই নেই তারা চেয়ে আছেন অন্যের দিকে।

উত্তরদা ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম জানান, এবারের বন্যায় তাদের বাড়িঘরের পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সড়কের। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী অধিকাংশ সড়ক ভেঙে গেছে। তিনি জানান এ ইউনিয়নের সব এলাকার সড়কের অবস্থা বেহাল। এ ছাড়া অনেক পরিবার ঘর বানাতেও হিমশিম খাচ্ছে। আবার যদি বন্যা হয় এমন আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামের লোকদের মধ্যে।

লাকসাম উপজেলার সাংবাদিক নূর উদ্দিন আজাদ জানান, এ উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম এখনও পানির নিচে। পানি নামছে ধীরে। সড়কও ডুবে আছে এখনো। এসব এলাকায় মানুষ আছেন খুব কষ্টে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, এখন গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার নিছে রয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টি না থাকায় বন্যার পানি বিপৎসীমার আর ওপরে যাবে না। আবহাওয়া ভালো থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!