ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

ময়মনসিংহে বন্যার আরো অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম

ময়মনসিংহে বন্যার আরো অবনতি, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী দুই উপজেলায় বন্যার আরো অবনতি হয়েছে। অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢলে ১৭ ইউনিয়ন প্লাবিত ও লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কৃষি জমি। অপর দিকে সীমান্তবর্তী দুউ উপজেলা হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই
বললেই চলে।

জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে নারী শিশুসহ সাত শতাধিক মানুষ উঠেছে। তাদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চারটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরে রাতেই বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে ভূবনকুড়া ইউনিয়নের মহিষলেটি, ধোপাজুড়া, কড়ইতলী, জুগলী ইউনিয়নের গামারীতলা, জিগাতলা, নয়াপাড়া, ছাতুগাও, কৈচাপুর ইউনিয়নের নলুয়া, জয়রামকুড়া এলাকাসহ গাজীরভিটা বোরাঘাট নদীর পানি বেড়ে সূর্যপুর, সামিয়ানাপাড়া হাজনিকান্দক, আনচিংগি, বোয়ালমারাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামসহ ১৭ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়।

হালুয়াঘাট উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, তার এলাকার মহাজনিকান্দক, আনচিংগি, বোয়ালমারা এলাকায় পানি বেশি। তবে
সকালে পাহাড়ি ঢলে সীমান্তে সড়কের ওপরে তিন ফুট পানি ছিল। এলাকার পুকুরের মাছ সব চলে গেছে।

এদিকে, জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ১৫ হাজার ৪৩৮ হেক্টর ধানের জমি প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে পুরোপুরি ডুবে গেছে ৯ হাজার ৭৮ হেক্টর জমি, আংশিক ডুবেছে ৬ হাজার ৩৬০ হেক্টর এবং সবজি আংশিক প্লাবিত হয়েছে ১৫৮ হেক্টর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। বৃষ্টি বাড়লে পানি আরও বাড়তে পারে। উপজেলায়
মোট ৭টি ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া দুটি ইউনিয়ন পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। আনুমানিক ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি।

হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, উপজেলায় ৪টি ইউনিয়ন পুরোপুরি প্লাবিত। নারী-শিশুসহ প্রায় ৭ শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!