বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

শেরপুরে প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক অপসারণচেষ্টা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

শেরপুরে প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক অপসারণচেষ্টা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার শেরপুরে জোরপূর্বক অপসারণচেষ্টার অভিযোগ করেছেন একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার দাবি দেশের পরিবর্তিত অবস্থার সুযোগ নিয়ে ওই স্কুলের কিছু শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালচ্ছেন এবং আন্দোলন করার জন্য শিক্ষার্থীদের উষ্কানী দিচ্ছেন। প্রতিকার চেয়ে তিনি বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী হাপুনিয়া মহাবাগ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. দানিসুর রহমান। তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক দানিসুর রহমানকে পদ ত্যগের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীদের ও অধিকাংশ শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর স্কুলের সহকারি শিক্ষক শকিফুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী আমজাদ হোসেনের কাছ থেকে হিসাবের খাতা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিনিয়ে নেয়। তারা নিজেরা একটি হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনে। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দানিসুর রহমান অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী আমজাদ হোসেন জানান, ”গত ২০ আগস্ট শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষক আমার কাছে স্কুলের হিসাবের খাতা ও ভাউচারের ফাইল দাবি করেন। আমি প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া দিতে অস্বীকার করি। তারা আমাকে ধমক দিয়ে জোর করে সেগুলো নিয়ে গেছে।

তবে এসব কথা অস্বীকার করেছেন সহকারী শিক্ষক মো: শকিফুল ইসলাম। তিন জানান,“আমারদের হিসাব নিরীক্ষা কমিটি আগে থেকেই গঠন করা ছিলো। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিরীক্ষা করে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে প্রতিবেদনসহ স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। আমরা জোর করে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করানোর চেষ্টা করিনি।“

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুমন জিহাদী বলেন,”স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“

আরবি/জেডআর

Link copied!