ভোলায় বজ্রপাত ও পুকুরের পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পৃথক চারটি দুর্ঘটনায় এ মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে ফজরের নামাজ শেষ করে রাস্তায় হাঁটতে বের হয়ে পানিতে ডুবে মো. ছিদ্দিক (৬৯) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
তিনি চরফঅশন উপজেলার দুলারহাট থানার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের মৃত মতলব মিয়ার ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
একই সময় একই উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানিতে ডুবে তানজিম নামের দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বাবার নাম কালাম উদ্দিন আজাদ। বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত শিশুটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার এওয়াজপুর ও হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে বজ্রপাতে মোশাররফ হোসেন লিটন ও শিহাব উদ্দিন নামের আরো দুই জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে লিটন পেশায় দলিল লেখক। তার বাড়ি এওয়াজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. মোফাজ্জল হোসেন নসু মিয়া। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি গোয়াল ঘরে গরুর জন্য ঘাস নিয়ে যান। এসময় গোয়াল ঘরের পাশে বজ্রপাতের আঘাতে তিনি মারা যান।
অপরদিকে শিহাব উদ্দিন হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। বিকেলের দিকে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে তিনি নৌকা থেকে নেমে মাইনুদ্দিন মাছঘাট এলাকায় রওনা দেন। পথেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তার বাবার নাম মো. রফিজল হক। তিনি চর ফকিরা গ্রামের বাসিন্দা।
সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসব তথ্য জানিয়েছেন, পৃথক এই চারটি মৃত্যুর বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। ফলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :