ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫

কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত চারঘাটের নারীরা

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম

কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত চারঘাটের নারীরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেখতে যেমন সুন্দর, খেতে তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু। শীত আসলেই কুমড়ো বড়ির কথা মনে পড়ে যায়। শীতের খাবারে মুখরোচক স্বাদ আনতে মাছ-সবজিতে কুমড়ো বড়ির প্রচলন দীর্ঘ দিনের। রাজশাহীর চারঘাটে কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের নারীরা।

সোমবার ৬ জানুয়ারি সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম পড়েছে নারীদের। কুমড়ো বড়ি তৈরির উপযুক্ত সময় শীতকাল। শীতের সময় গ্রামীণ নারীদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তারপর দিন ছোট কাজও বেশি। এর মধ্যেই সকল কাজের আগে সকাল বেলা কুমড়ো বড়ি তৈরি করছে নারীরা।

কুমড়ো বড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ মাসকালাইয়ের ডাল আর চালকুমড়া। এর সাথে সামন্য মসলা। কুমড়ো বড়ি তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাবারের একটি মুখরোচক উপাদন। এতে তরকারির স্বাদে যোগ হয় নতুন মাত্রা।

শীতের আগমনের সাথে সাথে কুমড়ো বড়ি তৈরির ব্যস্ততা বেড়েছে গ্রাম অঞ্চলের নারীদের মাঝে। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন এই ৬ মাস কুমড়া বড়ি তৈরির ধুম পড়ে যায় গ্রামে গ্রামে। শীতকাল কুমড়ো বড়ি তৈরির ভরা মৌসুম। এ সময় গ্রামের প্রতিটা বাড়ীতে কমবেশি কুমড়ো বড়ি তৈরি করা হয়। এতে করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে নিতে কাজ করছেন গ্রামের নারীরা।

উপজেলার জরিনা বেগম বলেন, ৫ কেজি কুমড়ার সাথে দুই কেজি মাসকালাইয়ের মিশ্রণে কুমড়ো বড়ি ভাল তৈরি হয়। আগে মাসকালাই পানিতে ভিজিয়ে পরিস্কার করা, আর ঢেঁকিতে বা পাটায় বেটে বড়ি তৈরি করতে প্রচুর পরিশ্রম হত, সেই সাথে অনেক সময় লাগতো। এখন খোসা ছাড়ানো মাসকালাই বাজারে ক্রয় করতে পাওয়া যায়। মাসকালাই পানিতে ভিজিয়ে মেশিনের সাহায্যে মাড়াই করে অল্প সময়ে বড়ি তৈরির মিশ্রণ তৈরি করা খুব সহজ হয়েছে। এতে করে অল্প সময় প্রচুর পরিমাণ কুমড়া বড়ি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব হচ্ছে।

মনোয়ারা বলেন, অনেক পরিশ্রম এই কুমড়ো বড়ি তৈরিতে। রাত জেগে শীল-পাটায় কেজি কেজি ডাল বাটা সহজ কাজ নয়। তবুও পেটের তাগিদে অনেক কষ্ট করে আমাদের কুমড়োবড়ি তৈরি করতে হয়। শীত মৌসুমে এ বড়ি তৈরি করে সংসারে বাড়তি আয় কিছু করা সম্ভব হয়।

ব্যবসায়ী আকরাম আলী বলেন, বাজারে বিক্রির পাশাপাশি উপজেলার বাহিরে বিভিন্ন এলাকাতে পাইকারি ভাবে বিক্রয় করছে। শীতের সময় কুমড়ো বড়ির চাহিদা থাকে বেশী, আর গ্রাম অঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়ো বড়ি তৈরি করছেন বলে তিনি জানান।

আরবি/জেডআর

Link copied!