ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চার ট্রাক মাটির দাম এক লাখ ৯০ হাজার টাকা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ১১:২২ পিএম

চার ট্রাক মাটির দাম এক লাখ ৯০ হাজার টাকা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাস্তা সংস্কারের কাজে চার ট্রাক মাটির দাম এক লাখ ৯০ হাজার টাকা হলেও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলী নুর সন্তুষ্ট। কাবিটা প্রথম পর্যায়ের এই প্রকল্পের নাম হলো উপজেলার জাগীর ইউনিয়নে “জয়রা গরুর হাট হতে সালামের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুন:নির্মাণ”। প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পের সভাপতি জাগীর ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার দেলোয়ার হোসেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ প্রকল্পটিতে কাজ হয়েছে নাম মাত্র।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ২০০ ফুট মাটির ট্রাকের মাত্র চার ট্রাক মাটি পড়েছে এই রাস্তায়। আনুপাতিক হারে রাস্তায় কাজ হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশের মতো।

প্রকল্পের সভাপতি আনোয়ারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, রাস্তায় যতটুকু মাটির প্রয়োজন ছিল আমি তা ফেলেছি।

উপজেলায় টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অর্থ বছর পেরিয়ে গেলেও একাধিক ইউনিয়নে অনেক প্রকল্পের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ হয়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত প্রকল্পের তালিকা ধরে সরেজমিন অনুসন্ধান করলে এ চিত্র পাওয়া যায়।

সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের গাড়াকুল মাদ্রাসা হতে গোলাম নবীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য কাবিটা প্রথম পর্যায়ে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের সভাপতি করা হয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসনকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় কাজ হয়ে আংশিক। সভাপতিকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা বলেছেন, কাজ হয়েছে নাম মাত্র, দ্বায়সারাভাবে।

জাগীর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে “মত্ত নুর মহুরীর বাড়ি হতে মিরাজের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা” মেরামতের জন্য টিআর তৃতীয় পর্যায়ে ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের সভাপতি শাহআলম মেম্বার। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৬০০ ফুট লম্বা রাস্তাটিতে কাজ করা হয়েছে মাত্র ১০ ফুটের মতো। যদিও এই প্রকল্পের পুরো টাকা এখনো দেওয়া হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও পিআইও অফিস বলছে, কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি টাকা দেওয়া হবে।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের টিআর, কাবিখা, কাবিটার মোট ৩০টি প্রকল্প সরেজমিন অনুসন্ধান করে দেখা যায়, অধিকাংশ প্রকল্পেই কাজ হয়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো। স্থানীরা বলছেন, সঠিক তদারকির অভাবে উন্নয়ন কাজের সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী বলেন, কোন কাজের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমাদের অবগত করবেন। আমরা সে বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!