ঢাকা শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪

লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত গাবতলীর কারিগররা

রিয়াজ মাহমুদ, গাবতলী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত গাবতলীর কারিগররা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় এবার একটু আগাম শীত নামতে শুরু করেছে। প্রত্যন্ত পল্লী থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এই আগাম শীতে লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি। গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা লেপ-তোষক মওজুদ করে রেখেছেন বিক্রির জন্য।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন থেকে ঠাণ্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা পড়ছে সর্বত্র। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশার চাদরে চার দিকে ঢেকে যাচ্ছে। অক্টোবর মাসের শেষের দিক থেকে গাবতলীতে শীত নামতে শুরু করেছে। 

বিভিন্ন বাজারে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বগুড়ার গাবতলী বাজার, তনিরহাট, নাড়ুয়ামালা হাট ও বাগবাড়ি বন্দর বাজারে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

গাবতলীর পৌর সদর বাজারের লেপ-তোষক তৈরির দোকানদার  মো. শাহিদুল ইসলাম  জানান, এরই মধ্যে ক্রেতারা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক, বালিশসহ শীতবস্ত্র সংগ্রহ করছেন। তবে লেপ-তোষক তৈরির কাঁচামাল তুলা ও কাপড়ের দাম একটু চড়া। বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা (সাদা) ৭০ থেকে ৪০০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা (কালো) ৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৪শ টাকা থেকে ৬শ ৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ২শ টাকা থেকে ৩শ ৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। লেপ তৈরির লাল শালু কাপড় প্রতিগজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গাবতলী  বাগবাড়ি  বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. পুটু মিয়া জানান, গত বছর ১ হাজার টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল এবার সেটা ১৩শ টাকা থেকে ১৬শ টাকা খরচ পড়ছে। শুধু লেপ তৈরির মজুরী ২ শত টাকা। একটি লেপ বানাতে গত বছরের চেয়ে এবার ২০০/৩০০ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।

লেপ-তোশকের দোকান মালিকরা জানান, বছরের প্রায় ৮ মাস তেমন বেশি কাজ হয় না। শীতের ৪ মাসের আয়-রোজগার দিয়ে বাকি আট মাস চলতে হয় তাদের। তাই দিন রাতে কাজ করতে হয় শীতের মৌসুমে। তবে, আধুনিক সময়ে এসে বাহারি ডিজাইনের কম্বল বাজারে আসায় কমে এসেছে লেপ-তোশকের চাহিদা।

তিনি আরও জানান, একটি তোষক ১৩শ থেকে ১৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও উন্নতমানের একটি জাজিম তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

অন্যদিকে লেপ তৈরির জন্য অগ্রিম টাকা দিতে দোকানে আসা ক্রেতা রহিম মিয়া বলেন, আর কয়েক দিন পর লেপ-তোষকের কারিগররা বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। লেপ-তোষক তৈরির কাঁচামালের মূল্যও বৃদ্ধি পেতে পারে তাই, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

আরবি/জেডআর

Link copied!