নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পকেটমার ও ভুয়া পুলিশ আখ্যা দিয়ে আসল পুলিশসহ দুই ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। স্থানীয় জনতা। রবিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় বাসস্ট্যান্ডে ঘটে এ ঘটনা। গণধোলাইয়ের শিকাররা হলো- দিনাজপুর জেলার হাসেমপুর থানার মৃত শরাফত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আবু নুর শফিউজ্জামান (৫৫)। সে ঢাকাস্থ (ডিএমপি) কলাবাগান থানার কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে। আরেকজন পুলিশ সদস্যের বন্ধু মো. রাজু (৪৫)। সে বরিশাল জেলার মোল্লাদি থানার নেছার উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনাস্থলের বেশ কয়েকজন দোকানি প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যক্তির সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের ৪-৫ টি ছেলের সঙ্গে আলাপ করছিল। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরেই ওই ছেলেগুলো আশপাশের লোকজনকে পুলিশ সদস্য ও তার সঙ্গে থাকা একজনকে ভূয়া পুলিশ ও পকেটমার আখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। কিছু বোঝার আগেই সাধারণ মানুষ তাদের মারধর শুরু করে ।
তারা আরও জানান, আমরা পরে শুনেছি তারা নাকি পুলিশের লোক পরিচয় দিয়েছে। পরিচয় দেয়ার পর লোকজন পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে একজন ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র দেখান। এতে জড়ো হওয়া লোকজন তারা যে পুলিশের সদস্য কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি। কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন জানান, স্থানীয় জনতা আমাদের কাছে যে দুজন ব্যক্তিকে দিয়েছেন তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য এবং আরেকজন ওই পুলিশ সদস্যের বন্ধু। মূলত তাদের সানারপাড় এলাকার কয়েকজন ছেলে পকেট মার আখ্যা দিয়ে আশপাশের লোকজন ডাকেন। তখন তারা পুলিশ সদস্য পরিচয় দিলো ভুয়া পুলিশ বলে মারধর করে।
ওসি আরও জানান, যে ব্যক্তি পুলিশের সদস্য, তার কাছে অরজিনাল কার্ডই রয়েছে। সে পুলিশেরই লোক। মূলত ওই ছেলেগুলো এই ব্যক্তিদের পকেটে হাত দিয়েছে। কিন্তু তারা উল্টো জনগণকে বুঝিয়েছে যে তাদের পকেট মারতে গেছেন। যার কারণে সাধারণ মানুষ ভুল করে তাদের মারধর করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :