ঢাকা বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

ফতুল্লা বিসিকে গার্মেন্টস ভাংচুর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম

ফতুল্লা বিসিকে গার্মেন্টস ভাংচুর

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শিল্প এলাকা বিসিকে বেতন ভাতার দাবীতে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার সকাল ১০ টা থেকে ফতুল্লার বিসিক এলাকায় ক্রোণী এপ্যারেলসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি গার্মেন্টে ভাংচুর করেছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে দুপুর ১২ টায় সবকিছু স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিনা নোটিশে বেতন পরিশোধ না করে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়ায় ফতুল্লার অবন্তী ও ক্রোণী গার্মেন্টসের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকাল থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ মোক্তারপুর পুরাতন সড়ক অবরোধ করে রাখে। এক পর্যায়ে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিসিকের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়ে ভাংচুর শুরু করে। এ সময় আবির ফ্যাশন ও লারিব গার্মেন্টে সামান্য ভাংচুরে ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

পরবর্তীতে দুপুরে বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের টীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
শ্রমিকদের সাথে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন। অপরদিকে আলোচনার ফাঁকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ফের ভাংচুরের চেষ্টা চালালে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনী বিক্ষুব্দ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে বিসিক থেকে সরিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে ব্যবাসয়ি সংগঠন বিকেএমই-এ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, সোমবার সকালে অবন্তী গার্মেন্টের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিল। এর মধ্যে
কিছু শ্রমিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করেছে। এক পর্যায়ে গার্মেন্ট মালিক, শ্রমিকপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে উশৃঙ্খল শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।

তিনি আরও জানান, ফতুল্লা বিসিকে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সকল গার্মেন্টে কাজ চলছে। যেসব শ্রমিকদের দেনা পাওনা রয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট গার্মেন্ট মালিকপক্ষের সঙ্গে শিল্প পুলিশ ও আমাদের ব্যবসায়িক সংগঠন যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সেলিম বাদশা জানান, ক্রোণী ও অবন্তী গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছে না। দীর্ঘদিন যাবতই এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ রয়েছে। এখানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত আছেন, আমাদের পুলিশের ও সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। সকলে মিলে শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা আলোচনা করছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!