ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

শ্রমিকদের বিক্ষোভে আজও স্থবির গাজীপুর, দুর্ভোগে যাত্রী-চালকরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ১২:১২ পিএম

শ্রমিকদের বিক্ষোভে আজও স্থবির গাজীপুর, দুর্ভোগে যাত্রী-চালকরা

ছবি: সংগৃহীত

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কারখানা এবং কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ডরিন কারখানার শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ করছেন। অবরোধের কারণে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা। সড়ক বন্ধ থাকায় অনেকেই বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছেন।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটা থেকে গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।

কারখানা শ্রমিক ও শিল্প পুলিশরা জানিয়েছে, অক্টোবরের বেতনের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এদিন সকালে কারখানার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় সড়ক অবরোধ করলে উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিক আরমান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা সঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত অক্টোবরের বেতন পাইনি। বেতন না পেয়ে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’

শ্রমিক আফজাল হোসেন বলেন, ‘বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। বেতন পেলেই আমরা কাজে ফিরব।’

অন্যদিকে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে সারাব, জিরানীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের কারখানাও আছে। গতকাল সোমবার থেকে ডরিন ফ্যাশন কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করে ১১টার দিকে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যান। আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আবার শ্রমিকেরা জিরানী এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন।

ডরিন ফ্যাশন কারখানার অপারেটর মাসুদ মিয়া বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে কর্তৃপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখে। গত রোববার খুলে দেওয়া হলেও দুপুরের পর আবার ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল শ্রমিকেরা সকালে কাজে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের কারখানায় কোনো সমস্যা হয়নি। তারপরও কেন কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে? তাই কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন।’

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম গগণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েক দিনের মতো আজও শ্রমিকেরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। তবে আশপাশের এলাকায় থানা-পুলিশ ও শিল্প পুলিশ মোতায়েন আছে।

 

আরবি/জেআই

Link copied!