বগুড়ার শাজাহানপুরে বিয়ের দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রেমিক সাব্বির আহম্মেদের কর্মস্থলে গিয়ে মাস্টার্স পড়ুয়া এক প্রেমিকার অনশন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দুপুর থেকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় করে উৎসুক জনতা। অবশেষে বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় একটি বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। গত সোমবার উপজেলার চাঁদবাড়িয়া মানিকদিপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। শিক্ষক সাব্বির আহম্মেদ শাজাহানপুর উপজেলার ঘাষিড়া গ্রামের ও মেয়েটি ধুনট গোসাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
উক্ত বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস সুরাইয়া জানান, সাব্বির আহম্মেদ নামের একজন সহকারি শিক্ষক হিসাবে গত ১ জানুয়ারি স্কুলে যোগদান করেন। গত সোমবার স্কুলে টিফিন চলাকালে বেলা দেড়টার দিকে বান্ধবীসহ এক নারী ওই স্কুলে হাজির হন পরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ওই নারী জানায় সাব্বির আহম্মেদ তার প্রেমিক। তার সাথে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত সে এখান থেকে যাবে না। বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকার কৌতুহলী বহু নারী-পুরুষ স্কুল মাঠে ভিড় জমায়।
চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামলাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানকে সংবাদ দেন এলাকাবাসি। আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিকাল ৫টা পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। এমতাবস্থায় স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয় বন্ধ করে অন্যান্য শিক্ষকরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। কিন্তু শিক্ষক সাব্বির ও তার প্রেমিকাকে বিদ্যালয় চত্বরেই ঘিরে থাকে উৎসুক জনতা।
এ ঘটনায় আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, প্রেমিক যুগল ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সম্মতিতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় একটি বাড়িতে নিকাহ নিবন্ধকের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।
আড়িয়া ইউনিয়নের নিকাহ্ নিবন্ধক নুরুল ইসলাম বাচ্চু জানান, ছেলে ও মেয়ের সম্মতিতে এবং স্থানীয় এলাকাবাসির সামনে ১২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :