বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় রোপা আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। সোনালী ধানের শীষে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পুরো মাঠ। সেই সাথে কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত এই উপজেলায় এবারও রোপা আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, চলতি মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে এবার ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়। আর গত বছর চাষ হয়েছিল ১২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। অন্য লাভজনক ফসল চাষাবাদ করায় এবার ৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ কম হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে রোদের তীব্রতা থাকায় এখন পর্যন্ত আমন ক্ষেতে তেমন কোন রোগ বালাই দেখা দেয়নি। এর পরেও আমন ধানের গাছ ভাল রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকরা জমিতে সতর্কতামুলক কীটনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা সার্বক্ষনিক জমিতে পরিচর্যা করছেন। এবার বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হলেও আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে কৃষক।
আদমদীঘি উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ধান আবাদে এখন পর্যন্ত তেমন কোন সমস্যা হয়নি। আমাদের মাঠে জমির ধান ফুলে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে, আবার কিছু জমির ধান কেবল ফুলছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মাঠের অধিকাংশ ধান পাকতে শুরু করবে। বাজারে দাম ভালো পেলে এ বছরও ভালো লাভ পাওয়া যাবে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, চলতি আমন ফসলের মাঠ সোনালী ধানে পরিপূর্ণ হয়েছে। ধানের রোগবালাই দমনে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ উঠান বৈঠক, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, লীফলেট বিতরণসহ সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদাণ করায় ধান ক্ষেতে রোগবালাই কম দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :