বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

পলাশে মাঠজুড়ে সোনালী ধান, কৃষকের মুখে হাসি

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

পলাশে মাঠজুড়ে সোনালী ধান, কৃষকের মুখে হাসি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আগাম আমন ধান কাটা নিয়ে চলছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এ বছর ধানের ভালো ফলন ও বাজারে উচ্চমূল্যের কারনে কৃষকদের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের শীষে ভরা পরিবেশ এবং কৃষকের নিরন্তর ব্যস্ততা নতুন আশার আলো ছড়াচ্ছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে, তাই উপজেলার
প্রতিটা কৃষক রোপা ও আমন ধানের ফলনে বেশ খুশি। তারা ইতোমধ্যেই ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা মেলে, জমির ধান পেকে সোনালি রঙে শোভা ছড়িয়েছে। পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিক। শ্রমিকের পাশাপাশি ধান কাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনও। 

এ সময় কৃষক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রথমে প্রাকৃতিক দূর্ষোগ নিয়ে শংকিত ছিলাম,কিন্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব না থাকায় আমাদের কস্ট সার্থক হয়েছে। বাজারদরও সন্তোষজনক।

অপর কৃষক বদরউদ্দিন জানান, এবার বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ মন ধান পেয়েছি। যদিও বিঘা প্রতি ১০-১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তারপরও এবার ভালো লাভের আশা
করছি। ধানচাষি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জসিম মিয়া জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানও ভালো হয়েছে। এই মৌসুমের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হওয়ায় ধানের জমিতে মাত্র ৩-৪ দিন পানির সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। এতে করে খরচটা অনেক কম হয়েছে এবং এ বছর ধানে রোগ বালাই কম। তাই ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নের লক্ষমাএা ছিল তিন হাজার ৫৬৫ হেক্টর। এর মধ্যে ধান উৎপাদন হয়েছে তিন হাজার ৫৪৮ হেক্টর জমিতে। উপজেলার বেশির ভাগ চাষি এবার বিনা-১৭, ব্রি-ধান ৭৫,ব্রি-৮৭,ব্রি-৯৩ এবং ব্রি- ১০৩ জাতের ধান চাষ করেছেন।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আয়েশা আক্তার জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলায় আমন ধানের চাষাবাদ অনেক ভালো হয়েছে। সেই সাথে ভালো আবহাওয়ার কারনে ধানের রোগ বালাইও অনেক কম হয়েছে। ধান চাষে গতবারের চেয়ে ভালো ফলন হওয়ায় এবার লক্ষমাএা অর্জন হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!