বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা-মামলা খেলা হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে মামলায় নাম দেয়া হয়, নাম কেটে ফেলা হচ্ছে। এই জন্যই কি ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান করেছিল? ছাত্র-জনতা স্পষ্ট বলে দিতে চায়-কোন নিরপরাধ ব্যক্তি, যে দলেই হোক না কেন তাকে শাস্তি দেওয়া, হয়রারি করা এই বিষয়কে সমর্থন করে না।
সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে দুর্নীতি আর বৈষম্য ঢুকে গেছে। ঘর থেকে সমাজ আর প্রতিষ্ঠান থেকে রাষ্ট্র প্রতিটি ক্ষেত্রেই, ঘুষ, দুর্নীতি আর দালালে ভরে গেছে। এসব সংস্কার হবে ছাত্র সমাজের মতামতের ভিত্তিতে। শুধু তাই নয়, ছাত্র সমাজ নির্ধারণ করবে পররাষ্ট্র নীতিও।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাহলে নতুন স্বাধীনতার পর কেন হিন্দু মানুষদের সীমান্তের দিকে ছুটে যেতে হবে?
হিন্দু ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে সারজিস বলেন, এই দুর্বলতা আপনারা নিজেরাই তৈরি করেছেন। না বুঝে, না জেনে সারা জীবনের জন্য আপনার ভোট একটি মার্কার জন্য নির্ধারিত করে রেখেছেন। নৌকা মার্কার জন্য আপনার ভোট নির্ধারণ করে রাখাই হচ্ছে আপনার দুর্বলতা।
সারজিস আলম ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্যের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ওই এমপি ও তার লোকজন সনাতন ধর্মের মানুষদের জমিজমা দখল করে নিয়েছে। ওই এলাকায় একটি পরিবারতন্ত্র গঠন করেছেন। সংসদ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ওই পরিবার থেকে প্রতিনিধি দিয়েছে। আবার তার জন্যই সাফাই গেয়েছেন। এই পরিবারতন্ত্রকে ছাত্র সমাজ গ্রহণ করে না। এখন থেকে বাংলাদেশে যা হবে ছাত্রসমাজের মতামত এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :