মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হরিরামপুর জোনাল শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সামিউল কবির কে চাকরি থেকে অবসান দেওয়ায়, মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ২ ঘণ্টারও বেশি সময় মানিকগঞ্জের সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট করে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে মানিকগঞ্জবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ ঘটিকার দিকে মানিকগঞ্জের সমস্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয় এবং ডিজিএম সামিউল কবিরের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও নানা দাবিতে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস প্রাঙ্গনে আন্দোলন করে । এতে করে মানিকগঞ্জের মোট পাঁচ লক্ষেরও অধিক গ্রাহক হয়রানির শিকার হয়।
জানা যায়,মানিকগঞ্জ জেলায় মোট গ্ৰাহক সংখ্যা ৫ লক্ষেরও অধিক । ২ ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখায় হাসপাতাল,ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন জরুরি সেবা ব্যাহত হয় । ২ ঘন্টায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল আসতো আনুমানিক ১ কোটি টাকা এর মধ্যে সরকার রাজস্ব পেতো ১৫ লক্ষ টাকা, সরকারের এই ১৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতি সাধন করে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ । দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা সামিউল কবিরের পাশে থাকতে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি `সরকার ও গ্রাহকদের` ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করে।
উক্ত অবসান পত্রে উল্লেখ করা হয়, জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করা, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় "পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্মচারী চাকুরী বিধি, ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২)" এর বিধান অনুযায়ী অদ্য ১৭/১০/২০২৪ খ্রি. তারিখ (পূর্বাহ্ন) হতে জনস্বার্থে তার চাকুরী অবসান করা হলো। তিনি বিধি মোতাবেক ০৩ (তিন) মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, প্রকৃত চাকুরী কালের ভিত্তিতে গ্রাচুইটি (আনুতোষিক) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে তাকে নিজস্ব জমাকৃত অর্থ প্রাপ্য হবেন। উক্ত চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, এ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি বিধি মোতাবেক বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এ আপীল দায়ের করতে পারবেন। তার দেনা-পাওনা মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হতে নিয়মানুযায়ী সমন্বয় প্রদান করা হবে।
মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হরিরামপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম সামিউল কবিরকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সহ কেউই কোন প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর `দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ` পত্রিকায় `পল্লী বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটে ৫ টাকা ক্ষতি করছেন ডিজিএম সামিউল কবির` শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় । এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হরিরামপুর জোনাল অফিসের নামে একাধিক অভিযোগ ও সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :