বরিশালের মুলাদীতে (কাবিটা) প্রকল্পের কাজ কাগজে কলমে শতভাগ দেখিয়ে প্রায় ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলা প্রসাশন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস ম্যানেজ করেই এমন কাজ করার অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া কাবিটার কাজে রাস্তার মাটি দিয়ে পুনরায় ওই রাস্তার কাজ করে উন্নয়নের নামে সরকারী টাকা লুট করে নেয় প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরাসহ উপজেলা সংশ্লিষ্ট অফিস। অফিসে কর্তাদের ইশারায় সহকারীদের মাধ্যমে চলে এসব গোপন লেনদেন। ফরম, স্ট্যাম্প, মাস্টাররোল, অডিট আপত্তি, অফিসখরচ, সহকারীদের খরচ, ফিল্ড ভিজিটের তেল খরচ, ওপরের কর্তার খরচ, এই অফিস কর্তার খরচ গুনতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। এরপর কর্মকর্তারা শতভাগ কাজ সম্পন্ন করার চাপ প্রয়োগ করেন। এখানেই শেষ নয়, অফিসে আসা বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হোক সে সরকার দলের না হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ওই আগতদের আচার আচরণ বুজে অফিস থেকে কাগজপত্র ছাড় দেন। তারা বুজেন যে লোক টাকা দিবেননা, তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ করে দেন। এ ভাবে মাসের পর মাস হয়রানি ও ভোগান্তির ফাঁকে পেলেন। অফিসেই একটি গোপন সিন্ডিকেট আছে। ফলে সরকারী টাকা উন্নয়ন না করে পকেট ভারী হচ্ছে অসাধু কর্মকর্তাদের। এভাবেই চলছে বরিশালের মুলাদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস।
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ বিভিন্নরকম প্রকল্প সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে, মুলাদী সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড স্কুল থেকে নিজাম ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পূর্ন:নির্মান। বাটামারা ইউনিয়নের চর আলীমাবাদ গ্রামের রুবেল সরদারের বাড়ি থেকে মিজু ভূইয়ার বাড়ি পর্যন্ত ইটের সলিং, নাজিরপুর ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ড সাহেবেরচর পাকা রাস্তা থেকে সুলতান খানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মান।
সফিপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চর মালিয়া গ্রামের আমিরের বাড়ি থেকে আব্দুর রব এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মান, চরমালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট না করে বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে প্রায় ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রকল্প গুলোর চিত্র একই রকম দেখা গেছে। কোথাও ১০ শতাংশ কোথাও ২০ শতাংশ, কোথাও মোটেও কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রকল্পের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পের কাজে তদারকির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারাও এই অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে দেখা গেছে এমন বাস্তব চিত্রও।
স্থানীয় বাবু হোসেন বলেন, সামান্য কিছু কাজ করই শেষ প্রকল্পের কাজ। কর্মকর্তারাসহ সরকারী টাকা আত্মসাৎ করা ছাড়া কিছুই না। মুলাদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানাকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি। এমন কি তিনি মোবাইল ফোন ও রিসিভ করেন নি।
মুলাদী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, কাজের কিছুটা ব্যক্তয় হতে পারে। আমরা পূর্নরায় যাচাই বাচাই করে কাজ করবো।
আপনার মতামত লিখুন :