বরিশালের মুলাদীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সরকারি নতুন বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বেশি শিক্ষার্থী দেখিয়ে এসব বই শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ে আনা হয়। গত শনিবার উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। প্রধান শিক্ষক মতিয়া বেগম গত শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ৪২৮ কেজি বই বিক্রি করে দেন বলে জানান স্থানীয়রা। তবে মতিয়া বেগম নতুন বই বিক্রির বিষয় অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আলমারি খালি করতে পুরোনো কিছু কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. ইউনুছ খান বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষক গত শনিবার সকালে নিজে উপস্থিত থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিক্রি করে দেন। গত দুই বছর বিদ্যালয়ে কম শিক্ষার্থী থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা দেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চাহিদা অনুসারে বিদ্যালয়ে বই দেওয়ায় এসব বই নতুনই থেকে যায়। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই রাখার জন্য জায়গা খালি করতে এসব বই বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক।
বই ক্রেতা আশরাফুল সরদার বলেন, বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বিগত বছরের বই বিক্রির কথা বলেন। পরে ১৫ টাকা কেজি দরে বিদ্যালয় থেকে ৪২৮ কেজি বই কেনা হয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো কোনো কাগজপত্র ছিল না।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়া বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের বই বিক্রির বিষয়টি জানা নাই। তবে কিছু পুরোনো কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি বই প্রধান শিক্ষক বিক্রি করতে পারেন না। অতিরিক্ত চাহিদা দিয়ে নেওয়া বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না হলে শিক্ষা কার্যালয়ে ফেরত দিতে হবে। আর বই পুরোনো হলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের (ম্যানেজিং কমিটি) সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :