যশোরের ঝিকরগাছায় পাইকারি ও খুচরা তরকারির অগ্নিমূল্যে সাধারণ ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে বুধবার সকালে কাঁচা তরকারির বাজারে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৮ টায় কাঁচা তরকারি পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তরকারির অগ্নিমূল্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন। কাঁচা তরকারি পাইকারি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোড়ল ও তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হয়। কথা হয় খুচরা তরকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের সাথে।
তাদের কথা অনুযায়ী দেখা যায়, পাইকারি দরে প্রতি কেজি কাঁচকলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা খুচরা বাজারে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ তেমনই ৯৫ টাকার উচ্ছে ১২০ টাকা, ৫৫ টাকার কুশি ৭০ টাকা, ৫৫ টাকার ঢেঁড়স ৭০ টাকা, ৫৫ টাকার লাউ ৭০ টাকা, ৫৫ টাকার ঝিঙে ৭০ টাকা, ১২০ টাকার পুঁইশাকের মেছুড়ি ১৬০ টাকা, ২০ টাকার পুঁইশাক ৩০ টাকা, ৬০ টাকার পটল ৭০ টাকা, ২২০ টাকার কাঁচা ঝাল ২৫০ টাকা, ১২০ টাকার বেগুন ১৮০ টাকা, ২০০ টাকার ফুলকপি ২৫০ টাকা, ১০০ টাকার পাতাকপি ১২০ টাকা, ৫০ টাকার আলু ৫৫ টাকা, ১০০ টাকার পেঁয়াজ ১১০ টাকা, ১৯০ টাকার রসুন ২২০ টাকা, ১৮০ টাকার টমেটো ২২০ টাকা, ১৫ টাকার পেঁপে ২৫ টাকা, ৩৫ টাকার জলপাই ৫০ টাকা, ৩০ টাকার পুঁইশাক ৪০ টাকা, ৫০ টাকার কচুর মুখি ৬০ টাকা, ৬০ টাকার শসা ১০০ টাকা, ৫৫ টাকার কুমড়া ৭০ টাকা, ৭০ টাকার ওল ১০০ টাকা, ৭০ টাকার ঢেঁড়স ৮০ টাকা, ৩০ টাকার পোল্লা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে সবজি কিনতে আসা এমদাদুল হক জানান, তরি-তরকারির দাম এত বেড়েছে যে আগে ১ কেজি তরকারি কিনতাম, এখন ৫০০ গ্রাম তরকারি কিনি। তরকারির চেয়ে ঝোল খাচ্ছি বেশি।
কাঁচাবাজারে বিক্রি করতে আসা শ্রীরামপুর গ্রামের বেগুন চাষী মেহেদুল জানান, আমি প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ মন বেগুন বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসতাম। ঝড়-বৃষ্টি বা খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমাদের বেগুনের ফলন কমে গেছে। এখন প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ কেজি বেগুন বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসি। এককথায় খারাপ ব্যবহার কারণে সব ধরনের তরি-তরকারির দাম উৎপাদন কমে গিয়েছে। এজন্যই দরকারির দাম বেড়ে গেছে।
খুচরা তরকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দরে কিনে নিয়ে আসব, তা থেকে তো আমাদের লাভ রেখেই তরকারি বিক্রি করতে হয়। এজন্য তরকারির দাম বেশি।
কাঁচামালের পাইকারি আড়তদার নজরুল ইসলাম মোড়ল ও তরিকুল ইসলাম জানান, তরকারি উৎপাদনকারী চাষীদের ফলন কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো বৈরী আবহাওয়া। উৎপাদন কমে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :