স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পায়ে হিরো আলমের টিকটক, সমালোচনার ঝড়

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে টিকটক ভিডিও বানিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম ও তার সঙ্গী রিয়া মনি। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পায়ে টিকটক করে সমালোচনার মুখে পরে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে রাণীশংকৈল উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মারক খুনিয়াদিঘি স্মৃতিস্তম্ভের ওপর জুতা পরে তারা একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শকরা টিকটক ভিডিওটি তাদের মোবাইলে ধারণ করেন। পরে তা মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে নেটিজেনরা নানান মন্তব্য করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে আচ করতে পেরে হিরো আলম রাণীশংকৈল উপজেলা ত্যাগ করে করেন।

জানা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ওরশ মেলায় রাজমনি সার্কাসে নাচ গান করতে আসেন আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম ও তার সঙ্গী রিয়া মনি। পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক খুনিয়াদিঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পারে টিকটক ভিডিও বানান তিনি।

এ নিয়ে নেকমরদ মেলা কমিটির সেক্রেটারি রুহুল আমীন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। ইতোমধ্যে হিরো আলম আমাদের সার্কাসে রাতে শো শেষ করে চলে গেছেন। রাত ১১ টায় সংশ্লিষ্ট দি রাজমনি সার্কাসের ম্যানেজার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল ইসলাম তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জুতা পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে নাচ গান করা শহীদদের প্রতি চরম অবমাননার সামিল। এটি বরদাস্ত করা যায় না।
তিনি হিরো আলমের কঠোর শাস্তি দাবি জানান।

রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক জানান, ‘ঘটনাটি শুনছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটি অত্যান্ত দুঃখজনক ও অবমাননাকর। থানার ওসির সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।