নাটোরের লালপুর উপজেলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে উৎপাদন হচ্ছে ভেজাল গুড়। উপজেলার লালপুর, বালিতিতা ইসলামপুর, রায়পুর, হাগরাগাড়ি ও ওয়ালিয়ার প্রতিটি গ্রামের আনাচে কানাছে গড়ে উঠেছে ভেজাল গুর তৈরির কারখানা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই সকল কারখানায় (চিটাগুড়, চিনি, কাপড়ে ব্যবহৃত রং, ময়দা, হাইড্রোজ, পাথরের চুন, ফিটকিরি) দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে খেজুরের পাটালি গুড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সকল ভেজাল গুড় উৎপাদন কারখানায় মাঝে মধ্যে দুই একবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারখানা মালিককে জরিমানা করা হলেও তার তোয়াক্কা না করেই অবাধে উৎপাদন হচ্ছে ভেজাল গুড়। স্থানীয়রা আরও বলছে, এই সময়ে খেজুরের গুড়ের চাহিদা বেশি থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে খেজুরের গুড়ের নামে বিভিন্নরকম ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল গুড় যা মানব দেহের জন্যে ক্ষতিকর। এখানকার উৎপাদিত এই সকল ভেজাল গুড় পাইকেরদার/ আড়তদারদের মাধ্যমে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সকল ভেজাল গুড় উৎপাদনের পিছনে আড়তদাররাই দায়ী। বেশি টাকা লাভের জন্য গুড়ের ব্যবসায়ীরা নিজেরা টাকা দিয়ে তৈরি করেছেন ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা। খেজুরের গুড় মৌসুমি হলেও এ খানে সারা বছরই উৎপাদিত হয় খেজুর ও আখের গুড়। আর সারা বছর গুড় তৈরি করতেই ব্যবসায়ীরা উদ্ভাবন করেছেন এই ভেজাল গুড় তৈরির পন্থা।
তারা আরও বলেন, শুধু কারখানার শ্রমিক ও মালিককে নয় আড়তদারদের আইনের আওতায় আনতে পারলে এবং ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধ করতে পারলে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি খেজুরের গুড় ফিরে পাবে তার সুনাম এমনটাই আশা তাদের। এর জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান স্থানীয়রা। তবে এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন বলছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :