চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. শাহিন মোল্লার অপসারনের দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন । বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সীমান্ত ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জামায়াতের নেতাকমিসহ এলাকার সাধারন জনগন এ মানববন্ধন করেন।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদে বৈষম্য দূর করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে সেবা মূলক কাজের তালিকা প্রকাশের জন্য বলা হলেও ১মাসের মধ্যে সচিব শাহিন মোল্লা তা প্রকাশ করেনি তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে, জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত অথ আদায়, নাগরিক সনদ পত্র নিয়ে সাধারন মানুষের ভোগান্তি, টিসিবির কাড নিয়ে দলীয় করন করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ করা হয় মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবুবক্কর সিদ্দিক। এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আলাউদ্দিন, সাবেক ইউনিয়ন আমির মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, সাবেক আমির মো. আতিয়ার রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
সীমান্ত ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবুবক্কর অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সচিব শাহিন মোল্লা,সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনি, সাধারন সম্পাদক বাদল হোসেন টিসিবির কাড নিয়ে বৈষম্য করছে।
তারা বলেন, সীমান্ত ইউনিয়নে যে পরিমানে টিসিবির কাড আছে তার থেকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সীমান্ত ইউনিয়ন শাখার নিকট তারা ৫%দিবে বলে জানিয়েছেন এমন কি সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদে যে সমস্থ ইউপি সদস্য আছে তাদের কাউকে কোন কাড দেওয়া হয়নি। সচিব তাদের ভয়ে জামায়াত ইসলামী নেতাদের সাথে বৈষম্য করেন। এটা ঠিক না এটা খুব দুঃখ জনক। বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। এ ইউনিয়নের সাধারন মানুষের সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কোন দলীয় করন করা যাবে না। যদি কেউ দলীয় করন করে তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। জামায়াত ইসলাম কোন টেন্টারবাজ না, কোন দখলবাজ না, কোন লুটতারাজ করে না। জামায়াত ইসলাম আল্লাহর হুকুম মেনে কাজ করে তাই যারা এ ধরনের বৈষম্য করছেন তাদের হুশিয়ার করে হলো যদি কোন বৈষম্য করা হয় তা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সীমান্ত ইউপি সচিব শাহিন মোল্লা বলেন, টিসিবির কাড নিয়ে আমি কোন দলীয় করন করি নাই বরং দুই পক্ষকে ডেকে একটা সমাধান করার জন্য চেষ্ঠা করা হলে বিএনপির নেতাকমি আসলে জামায়াতের নেতাকমি আসে না আবার জামায়াতের নেতাকমি আসলে বিএনপির কোন নেতাকমি আসে না। দুই পক্ষই তালিকা দিয়েছে তালিকার কাজ এখনও শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গনির সাথে কথা বলার জন্য মুটোফোনে যোগাযোগের জন্য চেষ্ঠা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :