ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডিনের দায়িত্ববন্টনে অনিয়মের অভিযোগে ববিতে মানববন্ধন

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম

ডিনের দায়িত্ববন্টনে অনিয়মের অভিযোগে ববিতে মানববন্ধন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ডিনের দায়িত্ববন্টন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কিছু শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, ডিনের দায়িত্ব বন্টনের ব্যাপারে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নিয়েছেন কলা অনুষদের শিক্ষক।অথচ যোগ্য শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অনেকে আছেন। একজন প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক কিভাবে ডিনের দায়িত্ব নিজেই করে নেন! তিনি তো উপাচার্য নন, তাহলে কেন যোগ্য শিক্ষককে রেখে তিনি খাতা কলমে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যদি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে যোগ্য শিক্ষক না থাকতেন, তাহলে নিয়মানুযায়ী তিনি সব করতেন।

তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে স্ব অনুষদের ডিনের নিয়োগের ব্যাপারে জ্যেষ্ঠতা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়িত্ব বন্টনের ব্যাপারে এই নীতি অনুসরণ করা যেত। যোগ্য শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও কেন বৈষম্য তৈরি করলেন তিনি। এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা এই মানববন্ধনে। ডিনের দায়িত্বে যৌক্তিক সমাধান চায় তারা।

এদিকে এ বিষয়ে প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন বলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ছুটিতে গিয়েছে। তার অবর্তমানে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তি হিসেবে এটি আমার দায়িত্বে এসে পরেছে। এখানে ব্যক্তি মুহসিন উদ্দিন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হন নি। উপাচার্য দায়িত্ব নেবার আগ পর্যন্ত আমি কাউকে ডিনের দায়িত্ব দিতে পারি কিনা সেটিও আইনগত প্রশ্ন।

শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাহিদুল ইসলাম, নেওয়াজ শরীফ, উজ্জ্বল খান, শাহারিয়ার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নিয়েছেন আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন। অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন কলা ও মানবিক অনুষদের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। 

গত ৮ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রেজিস্ট্রার মো.মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া বিষয়টি অসঙ্গতি হয়েছে বলে অভিযোগও করেছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক শিক্ষক।

আরবি/জেডআর

Link copied!