বুধবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৫

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাহমিনা জান্নাত (২২) কে হত্যার দায়ে স্বামী উজ্জ্বল মাহমুদ (২৮) কে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সাথে আসামি উজ্জ্বল মাহমুদকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। উজ্জ্বল মাহমুদ জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ি এলাকার মো. মজনু মিয়ার ছেলে। দন্ডপ্রাপ্ত উজ্জ্বল বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে কর্মরত ছিল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ ফ্রেব্রুয়ারী জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের মেয়ে তাহমিনা জান্নাত এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় উজ্জ্বল মাহমুদের। বিয়ের পর থেকে উজ্জ্বল মাহমুদ ও তার পরিবারের লোকজন তাহমিনা জান্নাতের পরিবারের কাছে বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের নগদ টাকা ও জিনিসপত্র দাবি করতে থাকে। ইতিমধ্যে তাহমিনা জান্নাত গর্ভবতী হয়ে পড়েন।  যৌতুকের টাকা না পেয়ে এসময় স্বামী উজ্জ্বল মাহমুদ ও তার পরিবারের লোকজন তাহমিনা জান্নাতকে গর্ভপাত করাতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এরপর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে উজ্জ্বল মাহমুদ তার নিজ বাড়িতে আসে এবং বিগত ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল পুনরায় যৌতুকের ৫ লাখ টাকার জন্য তাহমিনা জান্নাতকে চূড়ান্তভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই দিন রাতে তাহমিনা জান্নাত যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করে।

মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. ফজলুল হক বলেন, স্ত্রী তাহমিনা জান্নাত যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় স্বামী উজ্জ্বল মাহমুদ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তাহমিনা জান্নাতের পিতা  ইব্রাহীম খলিল ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল ১৩ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ ১৫ জন সাক্ষী প্রদান করে এবং আসামি পক্ষের জেরা প্রদান শেষে বিজ্ঞ আদালত মামলার প্রধান আসামি উজ্জ্বল মাহমুদকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং বাকি আসামিদের খালাস প্রদান করেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!