শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

গাইবান্ধায় আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ইজতেমা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

গাইবান্ধায় আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ইজতেমা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দেশে খাদ্য উৎপাদনে রহমতসহ শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গাইবান্ধার তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা। এ সময় মহান আল্লাহর কাছে চোখের জলে নিজেদের পাপ মুক্তিসহ বিশ্ব মুসলিমের মঙ্গল ও নির্যাতিত-নিপীড়িত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন হাজার হাজার মুসল্লি।  শনিবার ৭ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে টায় মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় একটায়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল্লাহ শেখ।

এর আগে, ফজরের নামাজের পর বয়ান শুরু হয়। মাঝে খাবার বিরতি শেষে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়। এসময় তাবলিগে সময় দেওয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে ঠিক দুপুর সাড়ে ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে আখেরি মোনাজাত। এ বছর গাইবান্ধার সদর উপজেলার তুলশীঘাট কাশিনাথ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই গাইবান্ধা জেলাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান এবং রাত্রী যাপন করেন।

এছাড়া আজ শনিবার ভোর থেকে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার লোকজন দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন। পিকআপ ভ্যান, থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, কার-মাইক্রোবাসা, মোটরসাইকেলে করে ইজতেমাস্থলে পৌছান। ইজতেমার নির্দিষ্ট মাঠ ছাড়াও আশপাশে অবস্থান করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সকাল ১১টার মধ্যেই ইজতেমা মাঠের মূল মঞ্চ থেকে আশপাশের সব জায়গা মুসল্লিদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এবারে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে উল্লেখযোগ্য মহিলারাও অংশ নেন। পুরুষের পাশাপাশি তারাও সকাল থেকে ইজতেমাস্থলের আশে পাশের বাড়িতে অবস্থান করেন।

গাইবান্ধা হাসপাতাল বালুয়া এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছিলাম। এবারও অনেক মানুষের সঙ্গে মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে নিজের ও পরিবারের জন্য এবং দেশের জন্য দোয়া করেছি। এটা আল্লাহর রহমত আর আমার সৌভাগ্য হয়েছে, এতো মানুষের সঙ্গে মোনাজাত করার তৌফিক দান করেছেন। 

লাশবাড়ী উপজেলার আজগর আলী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকা থেকে অংশ নেওয়া তাবলিগ সদস্যের সঙ্গে ছিলাম। ইবাদত বন্দেগি করেছি এবং আজকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি।

বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায় এবং আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুক্রবার ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করে প্রায় এক লাখ মুসল্লী। ইজতেমায় ঈমান-আমলের বয়ানের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করেন তাবলিগের মুরব্বীরা। এবার গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা থেকে ইসলাম, ঈমান, আমলের শিক্ষা ও আল্লাহর দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক জামাত বের হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক।

আরবি/জেডআর

Link copied!