ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে অবৈধ বীজ বিক্রি

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম

বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে অবৈধ বীজ বিক্রি

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীতে বীজ বিক্রির বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিলারের প্যাকেট নকল করে বীজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর অবৈধ এ কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে রাজশাহী জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।

ইয়াকুব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক এমন অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজবোর্ড এবং বীজ অনুবিভাগের নিকট হতে হাইব্রীড জাতের ভূট্টা বীজ বিশাল-৫৫৫ গত ১ সেপ্টম্বর এবং বিরাট-৫৫৫ গত ২২ আগস্ট বীজ বিক্রির অনুমোদন নিয়েছি। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ শাখা-১ হতে ভারত থেকে ৫৫ মেট্রেক টন পর্যন্ত বীজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছি।

কিন্তু একই নামে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বীজ বিক্রেতা শামীম বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শামীম রেজা আমার বীজের প্যাকেট নকল করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এতে আমি বড় অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

এ বিষয়ে আমি গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। কৃষি কর্মকর্তা আমার অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রাজশাহী জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা বরাবর পত্র দিলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা আমাকে তার অফিসে ডেকে বলেন, দুজনেই বীজ বিক্রি করেন, কোন ঝামেলা কইরেন না। এতেই বুঝা যাচ্ছে জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শামীম বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধীকারী শামীম রেজার সাথে যোগসাজসে অবৈধভাবে আমার অনুমোদনপ্রাপ্ত ভূট্টা বীজগুলো বাজারজাত অব্যাহত রেখেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে শামীম বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শামীম রেজা মুঠোফনে বলেন, আমার বৈধ কাগজ ও অনুমোদন আছে। কোন অধিদপ্তর হতে অনুমতি নিয়েছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেননি। এসময় মিটিংএ আছি জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

রাজশাহী জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি ইয়াকুব ট্রেডার্সকে বলেছিলাম আপনারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, কেস করেন। এসব বিষয়ে তাদেরই ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে তারা কেনো করেনি সেটা তাদের ব্যাপার। শামীম বীজ ভান্ডার কে বীজ বিক্রি করার জন্য ইয়াকুব ট্রেডার্সকে অফার করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না না আমি এসব বলিনি। আমি তাদের নিষেধ করেছি। এখন আমি আবারও নিষেধ করে দিচ্ছি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

আরবি/ এইচএম

Link copied!