ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রংপুরের অর্থকারী ফসল পান চাষের আগ্রহ বাড়ছে কৃষি পল্লীতে

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ১২:১৪ এএম

রংপুরের অর্থকারী ফসল পান চাষের আগ্রহ বাড়ছে কৃষি পল্লীতে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পান রংপুরের অর্থকারী ফসল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কয়েকটি উপজেলার মধ্যে পীরগঞ্জ এবং মিঠাপুকুরের পান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পান চাষ শুরু করেছেন চাষিরা। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় আবাদটি বাড়ছে এ অঞ্চলে। 

পীরগঞ্জ উপজেলায় চতরাহাট, খালাশপীর হাট,ভেন্ডা বাড়ী হাট, পীরের হাট, মাদারগঞ্জ হাট বড়দরগাহ এবং জাহাঙ্গীরাবাদ হাটে নিয়মিতভাবে চাষিরা পান বিক্রি করে থাকেন।

বিশেষ করে জাহাঙ্গীরাবাদ হাটে সপ্তাহে ৪ দিন দুটি স্থানে পানের হাট বসে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি মোকাম থেকে প্রায় ২ শতাধিক পাইকার পান কিনতে আসেন জাহাঙ্গীরাবাদ হাটে। এ হাটে প্রায় ৫০ লাখ  টাকার পান বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়াও পীরের হাটে দেড় কোটি টাকার পান সপ্তাহে ৩ দিন চাষিরা বিক্রি করে থাকেন। 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পীরগঞ্জে ২শ একর, মিঠাপুকুরে ২০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়ে করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরের বেশকিছু জেলায়  সরবরাহ করা হচ্ছে পান। প্রতিবছরই নতুন নতুন করে পানের বরজ বা (চাষ) বাড়ছে। 

পীরগঞ্জের আমোদপুর গ্রামের পান চাষি ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান, এনায়েতপুর গ্রামের  সুকুমার এবং জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকার রঞ্জন মণ্ডল জানান, দুই তিন বছর ধরে পান চাষ করছেন তারা। চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে পান চাষ করেছেন।

পান চাষে খরচ বেশি হলেও অত্যন্ত লাভজনক ফসল। গত বছর একই পরিমাণ জমিতে পান চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। নতুন করে আবারও  বরজ বা বাগান বৃদ্ধি করেছে। তাদের উৎপাদিত পান বিক্রি হয়েছে স্থানীয় হাটবাজারে এবং এতে করে পান চাষিরা সকলেই লাভের মুখ দেখছেন। 

ভেন্ডাবাড়ী এলাকার পান চাষি  রঞ্জন মহন্ত  জানান, তিনি ধান, পাট ও সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতেন। তাতে উৎপাদন খরচের তুলনায় তেমন লাভ হতো না। তাই উপসহকারী কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী কয়েক বছর ধরে পান চাষ করছেন। বছরে সব ধরনের খরচ উঠিয়েও তিনি লাভের মুখ দেখেন। এ অঞ্চলে পানের বাজার এবং আবাদ ভালো দেখ এলাকায় পানের চাষ ছড়িয়ে পরেছে। 

চৈত্রকোলে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান শাহ্ জানান, পীরের হাট সপ্তাহে ৩ দিন বসিয়ে থাকে শুধুমাত্র পান বিক্রয়ের জন্য। এ হাটে ৩ দিনে প্রায় দেড় কোটি টাকার পান ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। কয়েকটি জেলার ব্যবসায়ীরা বা (পাইকাররা) পান কিনতে আসেন এখানে। 

মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদিন জানান, এ উপজেলার বেশকিছু হাটে পানের আমদানি হয়ে থাকে এর মধ্যে সঠিবাড়ী হাট এবং মাল্টি গোপালপুর হাটে বেশি পরিমান পানের আমদানি হয়ে থাকে। 

পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, পান একটি অর্থকরী ফসল। তবে অন্য ফসলের তুলনায় এটির উৎপাদন খরচটা বেশি হয়। তার পরও পরিকল্পিতভাবে চাষ করতে পারলে খুবই লাভজনক। পানের বাজারে যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি চাষিদের মধ্যেও পান চাষের আগ্রহ বাড়ছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!