ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ময়মনসিংহ মেডিকেলে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ১১:২৯ এএম

ময়মনসিংহ মেডিকেলে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। সপ্তাহের ব্যবধানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় দ্বিগুণ রোগী। বেশির ভাগ রোগী ঢাকা, সাভার ও গাজীপুরে অবস্থান করার সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।বাড়তি রোগী সামলাতে চালু করা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড। তবে রোগীদের মধ্যে মশারি ব্যবহারে অনীহা দেখা গেছে।

চিকিৎসকদের ভাষ্য মতে, প্রতিবছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী বেশি থাকে। তবে এবার শুরুতে রোগী কম থাকলেও এখন ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় ১৭ সেপ্টেম্বর ৬০ শয্যার ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন ২৯ জন, ৮ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৯ ও ১৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৫ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৩ জন রোগী। রোগীর বিছানায় মশারি টানানো ছিল না। স্বজনেরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের পাশে বসে গল্প করছিলেন। মুক্তাগাছা উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামের সানাউল্লাহ (৩২) মশারি টানানো ছাড়াই হাসপাতালের বিছানায় বসে ছিলেন। পাশেই তাঁর মা ও এক স্বজন ছিলেন।

সানাউল্লাহ বলেন, তিনি আফ্রিকা থেকে দেশে আসেন ৬ আগস্ট। ঢাকায় এক দিন অবস্থানের পর গ্রামের বাড়িতে আসেন। এরপর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন। গত শুক্রবার ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তীব্র গরমের কারণে মশারি বুলে রেখেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বারহা গ্রামের আরাফাত হোসেন।

তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া এলাকায় একটি এনজিওতে চাকরি করেন। বৃহস্পতিবার থেকে অসুস্থ বোধ করলে স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার পর তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৫৬ জন। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। ২০২৩ সালে এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৭২০ জন ডেঙ্গু রোগী।

এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। প্লাটিলেট কমতে থাকায় গত শনিবার এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মুক্তাগাছা উপজেলার বাসিন্দা আফজালুর রহমান (৩৮)। তিনি সাভারের আশুলিয়ায় একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। মশারির মধ্যে থেকে তিনি বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর কর্মস্থলে গিয়ে শরীরে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। তবে এখন অনেকটা ভালো বোধ করছেন।

আরবি/জেআই

Link copied!