নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভারতের মিডিয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছে আমাদের চেয়ে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। বাংলাদেশের জনগন ভারতের সাথে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে থাকতে চায়। ভারতের মিডিয়া যারা করছেন তাদের টিআরপি বাড়ানো জন্য করছেন তবে অন্যদিকে কমছে। অপপ্রচারে কারণে বাংলাদেশের জনগণ ভারতের বিপক্ষে বেশি দাড়াচ্ছে। তাতে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্থ কি আমরা একাই হবো, নাকি ভারতও হবে। পত্রপত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা যদি ২য় ও ৩য় বৃহত্তম ব্যবসায়িক কেন্দ্র হই ভারতের জন্য। ভারত কি আমাদের বিনা পয়সায় দেয়। টাকার বিনিময়ে দেয়। বন্ধ করে দেয় দিক। গরু তো বন্ধ করে ছিলো। তো আমরা এখন গরু খায় না। বন্ধ যদি উনারা করতে চাই। উনাদের ব্যাপার। উনারা বন্ধ করলে উনাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটার সাথে দুই পারের লাখ লাখ লোক জড়িত। পলিটিক্যাল বিষয়,পলিটিক্যাল বিষয়। ও গুলো পলিটিক্স উনারা করছেন। কিন্তু আমি মনে করি ব্যবসায়িরা এখনো এটাকে সার্পোট করবে না। এতবড় বাজার বন্ধ করবে বলে আমার মনে হয় না। কাজেই ১/২ দিন অবরোধ আমরাও তো করি মাঝে মাঝে। পলিটিক্যাল অবরোধ করতেছে করুক। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কোন কারন নেই।
তারা ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারতে অর্থনৈতিকভাবে ভাবে বিশাল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বাংলাদেশের সাথে ভারতে এতবড় একটি বাজার ভারত নষ্ট করবে বলে মনে হয় না। তারা যেতে না করলে বাংলাদেশিরাও সেখানে যাবে না।
কখনো শুনেছেন সকল পলিটিক্যাল পার্টি এক জায়গায় বসে কথা বলেছে। আমার বয়স বেশি হয়েছে আমি দেখিও নাই। আমরা সব সময় বলি জাতীয় যে কোন সংকটকালিন সময় অথবা নির্ধারণ করতে হবে একটা পথ। সে টার সময়। আজ হোক কাল হোক রাজনীতিবিদরা দেশ চালাবেন। আজ হোক, কাল হোক, পরশু হোক তারাই চালাবেন। সে জায়গাতে যদি রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঐক্যমত না হয় তাহলে জাতীয় যে পথ নির্ধারণ করার কথা সেটা তখন এলোমেলো হয়ে যায়। এখন যেহেতু সব একত্রে বসেছেন। এটা একটা বড় অর্জন, একটা উদাহরণ হয়েছে।
এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি আবু হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোমরাস্থল বন্দরের অংশীজনের সাথে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা ড.সাখাওয়াত হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :