একাধিকবার মন্ত্রী, এমপি, সচিব চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন এখনও আলোর মুখ দেখেনি আদেও কি স্থলবন্দর আলোর মুখ দেখবে না কি আশ্বাস দিয়েই শেষ হবে এমনটি মন্তব্য এলাকার সাধারন মানুষের। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারি গেজেটভূক্ত জীবননগর উপজেলার প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান।
জীবননগর প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি শুল্ক স্টেশন হিসেবে চালু ছিল। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় শুল্ক স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৯৭২ সালে শুল্ক স্টেশনটি ফের চালুর নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে আবারো এটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আবার শুল্ক স্টেশনটি চালুর প্রজ্ঞাপন জারি করে বন্দরটিতে ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১১ জুন আরেকটি প্রজ্ঞাপনে শুল্ক স্টেশন কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নির্দেশ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেটাও আলোর মুখ দেখেনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুত্রে জানা যায়, দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সব সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। বন্দরটি থেকে ভারতের জাতীয় সড়কের দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। ঢাকার সাথে দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। তা ছাড়া ভারতীয় অংশে জাতীয় মহাসড়ক থেকে সব স্থানে যাতায়াত করা সম্ভব। জাতীয় সড়ক থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের যে দূরত্ব, তার থেকে অনেক কম দূরত্ব অর্থাৎ ২৫ কিলোমিটার দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর। যার কারণে ভারতের সাথে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে দ্রুত সময়ে পণ্য আমদানি এবং রফতানি ও পরিবহন খরচ অনেকাংশে সাশ্রয়ী হবে।
জীবননগরে প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলামিন, জীবননগর থানার ওসি তদন্ত শহিদুর রহমান ।জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী, জীবননগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী সাখাওয়াত হোসেন, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা ময়েন উদ্দিন মঈনসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর পরিদর্শন কালে স্থলবন্দরের কাযক্রম বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েন সেখান থেকে চলে যান।
আপনার মতামত লিখুন :