ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ চার মামলায় খালাস পাওয়া বগুড়ার সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম করা সম্ভব নয়। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে পত্রে উল্লেখ করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজেই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন সাংবাদিক নজরুল। তিনি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ছিলেন। আগে পৌর শাখার দায়িত্ব পালন করেছেন।
নজরুল ইসলাম দয়া ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ বগুড়া জেলা প্রতিনিধি এবং নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৮ সালে সাংবাদিকতা পেশায় আসেন। সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০২১ ও ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দুটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এছাড়া গাজীপুর ও ভোলা জেলার আদালতে দুটি মামলায় আসামি হন। সম্প্রতি চারটি মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন সাংবাদিক নজরুল।
জাতীয় পার্টির সকল পদ-পদবী থেকে পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, তিনি ২০১২ সালে নন্দীগ্রাম পৌর জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক এবং পরে সদস্য সচিব হন। ২০২২ সালের ২৯ জুন নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়। আহবায়ক কমিটি তিনমাসের জন্য অনুমোদন করেন বগুড়া জেলা শাখা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তিনি আর কোনো পদ পদবীতে ছিলেন না।
পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কোনো রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক পদে থাকতে ইচ্ছুক নন নজরুল ইসলাম দয়া। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে যেকোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন, মতাদর্শ বা ভোট প্রদানের অধিকার আছে। তবে রাজনৈতিক দলের পদে থেকে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম করা সম্ভব নয়। দল বা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। জাতীয় পার্টির সকল পদ পদবী থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন এবং সিদ্ধান্তে কেউ কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ বা প্রভাবিত করেনি।
আপনার মতামত লিখুন :