৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর আগে এক মাসেরও বেশি সময় সারা দেশ ছিলো উত্তাল। কম্পন ছিলো সিলেটেও, ৫ আগস্ট পর্যন্ত এ বিভাগে আন্দোলন করে মারা গেছেন অন্তত অর্ধশত।
আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্টে সিলেট মহানগরের দেয়ালগুলোতে বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা আওয়াম লীগ ও হাসিনাবিরোধী নানা ছবি ও গ্রাফিতি অঙ্কন করেন এবং স্লোগান লিখেন।
এসব স্লোগান আর গ্রাফিটি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেন সাধারণ মানুষও। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাজপথে। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ও সর্বস্তরের মানুষের বিপ্লবে ৫ আগস্ট হাসিনামুক্ত হয় দেশ। অনেকেই এটিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বা বিজয় অর্জন বলে মন্তব্য করছেন।
কিন্তু যেসব স্লোগান আর গ্রাফিটি দেখে সিলেটের মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন- সেসব এখন মুছে ফেলা হয়েছে। এমনকি মুছেই ক্ষান্ত হচ্ছে না একটি মহল, বরং সদ্য জাতীয় স্লোগান থেকে বাদ দেওয়া ‘জয় বাংলা’ লেখা হচ্ছে। গত দুদিন ধরে (১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগেরর মীরের ময়দান ও পুলিশ লাইন্সের দেওয়ালগুলোতে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। তবে কে বা কারা এসব দেওয়ালেল গ্রাফিতির উপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান লিখছে- তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে সিলেটের দেওয়ালের ছবি দিয়ে Bangladesh Awami League নামের পেইজ থেকে মন্তব্য করা হয়- ‘সিলেটের অলিগলি ছেয়ে গেছে জয় বাংলা স্লোগানে’। সিলেট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানের এমন দেওয়ালের ছবি দিয়ে এমন মন্তব্য করা হচ্ছে Bangladesh Awami League-এর ফেসবুক পেইজে। এতে ধারণা করা হচ্ছে- এ কাজের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা জড়িত।
মীরের ময়দান ও পুলিশ লাইন্স এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন- আমরা দেখতে পাইনি কারা এমনটি করেছে। রাতের অন্ধকারে করা হয়েছে। আমরা দেখলে অবশ্যই প্রতিহত করতাম।
এদিকে এ বিষয়ে পুলিশও কিছু বলতে পারছে না। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন- এ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে। পাওয়া গেলে এ ধরনের কাজ যারা করেছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :