রাজশাহীর বাগমারায় দুটি পুকুর থেকে গভীর রাতে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহব্বত হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে । এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মৎস্যচাষীর। এঘটনায় শনিবার জড়িতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী রুবেল হক।
জানা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ১ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পোড়াকয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রুবেল হকের বাড়ি ঘেরাও করে পাশের দুটি পুকুর থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটায় ইউনিয়ন যুবদলের
সভাপতি মহব্বত হোসেন,তার সহযোগী মহাসীন আলী ও মাহাতাব হোসেনসহ আরও প্রায় ৩০-৩৫ জনের একটি দল । বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মাছলুট করলেও দেশীয় অস্ত্রের ভয়ে বের হতে পারেনি পুকুর মালিকরা। ওই সময় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেও তাৎক্ষণিক কোন সহযোগিতা পাননি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করলে মাদারিগঞ্জ বাজারের শরিফুল ইসলামের প্রত্যয় মৎস্য আড়তে বিক্রি করা এক চালানের ৪২ হাজারের অধিক টাকা জব্দ করা হয় । বেশ কয়েকগাড়ি মাছ লুট করা হলেও অন্য গাড়ির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আচিনঘাট গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মহব্বত হোসেন, চকমহব্বতপুর গ্রামের সমশের আলীর ছেলে মহাসীন আলী ও মাহাতাব হোসেন, একই গ্রামের আমজাদ
হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, নাহিদ ও নাইম, মৃত মেহেরের ছেলে আনিছুর রহমান, মসলেমের ছেলে আজিজ, গনিপুর গ্রামের আব্দুল এর ছেলে বাবলু ও জালালসহ আরও ৩০-৩৫ জন এ ঘটনায় জড়িত ।
অভিযুক্ত মহব্বত হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি পরে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন।
মাছচাষী রুবেল হক বলেন, আমার পুকুর থেকে রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী কায়দায় মাছ লুট করা হয়েছে। এতে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। ২৫-২৬ বছর থেকে ওই দুটি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছি আমরা। ওই দুটি পুকুরের মধ্যে একটি ক্রয়কৃত এবং অন্যটি লীজকৃত।
রুবেল হকের পিতা আব্দুল মজিদ বলেন, অস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের বাড়ির চারপাশ ঘেরাও করে যাতে কেউ বের হতে না পারি। নিরুপায় হয়ে ট্রিপুল নাইনে ফোন করলেও কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
এদিকে মাদারিগঞ্জ বাজারের ওই আড়তের মালিক শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কয়েকজন ব্যক্তি আমার আড়তে মাছ বিক্রয় করতে আসে। সেই মাছ ওজন করে নেয়া হয়। এক চালানে প্রায় ৪২ হাজার টাকার মাছ বিক্রয় করা হয়। পরে পুকুর মালিকরা এসে বাঁধা দিলে তাদেরকে টাকা দেয়া হয়নি। মাছ বিক্রয়ের ওই টাকা আমার কাছেই আছে।
এ ঘটনায় বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাছ লুটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :