বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা টিপুর বাসভবন ভাঙচুর-আগুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা টিপুর বাসভবন ভাঙচুর-আগুন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক যুবলীগ নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাড়ির ৪তলা বাসভবন ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন উত্তেজিত জনতা। 

বাসভবনটি জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায়। বাড়ির পাশেই থাকা টিপুর অন্য আরেকটি বাড়িও ভাঙতে শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে শত শত জনতা হাতুড়ি-শাবল নিয়ে বাড়িগুলোতে ভাঙচুর শুরু করেন। যা এখনো চলছে। 

সালাহ উদ্দিন টিপু লক্ষ্মীপুরের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে এবং জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এছাড়াও টিপু সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। 

গতরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজিত জনতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাড়ির ভাঙার প্রস্তুতি নেন।  

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচি দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নানা স্লোগান দিতে দিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সমবেত হয়ে ভাঙচুরের একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে রাত ১১টার দিকে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে ক্রেন ও এক্সকাভেটর এনে ভাঙার কাজ শুরু করেন তারা। 

অভিযোগ রয়েছে, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক যুবলীগ নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।

টিপুর বাড়ির ছাদ থেকে গুলি করা হয়৷ এদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে চার শিক্ষার্থী নিহত ও প্রায় তিন শতাধিক লোক আহত হন। বিক্ষুব্ধ জনতা ওইদিনই বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।

পরে রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর পর ওই বাড়ির ছাদ থেকে ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। যুবলীগ নেতা টিপু কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তখন। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পুনরায় আগুন ধরিয়ে দেন ছাত্র-জনতা। 

আরবি/জেডআর

Link copied!