ঢাকা রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কাহালুর যুবদল নেতা রাজাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম

কাহালুর যুবদল নেতা রাজাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার

যুবদলের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান রাজা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিএনপির কড়া নির্দেশনা ও সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বগুড়ার কাহালু উপজেলার যুবদলের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান রাজাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সম্প্রতি কাহালু উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুরইল এলাকার কামরুজ্জামান রাজা চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হন। প্রধান শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবির কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বির্তক শুরু হয়। 

রোববার (২৫ আগস্ট) বগুড়া জেলা যুবদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক শাহাদত হোসেন সোহাগ স্বাক্ষরিত বহিষ্কার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কামরুজ্জামান রাজা চার বছর আগে কাহালু উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। সম্প্রতি আবারও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিতর্কিত রাজাকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন বগুড়া জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম ও যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম। 

বিজ্ঞপ্তিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়, যুবদল সংশ্লিষ্ট কেউ কামরুজ্জামান রাজার সঙ্গে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা রাখলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জানা গেছে, সম্প্রতি কাহালু উপজেলার মুরইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের মোবাইলে কল করে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন সাবেক যুবদল নেতা কামরুজ্জামান রাজা। ফেসবুকে ছড়ানো কল রেকর্ডে চাঁদা দাবির সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে। 

প্রধান শিক্ষককে কল করে কামরুজ্জামান রাজা বলছিলেন, ‍‍`অনেক নিয়োগ দিয়েছেন। এবার কিছু ছাড়েন। আমরা ১৭-১৮ বছর ধরে দল ক্ষমতার বাইরে। কে কি করেছেন, সব লিস্টে রেখেছি। কয় টাকা কি কামাই করেছেন জানতে চাই না, ছেলে-পেলে আনন্দ করবে দুই-চার ৫০হাজার টাকা আপনার দেওয়া লাগবে।‍‍` 

প্রধান শিক্ষক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলছিলেন, ‍‍`তুমি আমার ছাত্র, বেশি কিছু বলবে না। আমরা কতগুলো মামলা খেয়েছি সেটা তো জানো। আমি কি নিয়োগ দিতে পারি? নাকি সভাপতি দেয়। ওই ধরনের ইনকাম আমি করিনি। যদি কেউ আমাকে দিয়ে থাকে তখন আমাকে বলবা।‍‍`

প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত করে রাজা বলছিলেন, ‍‍`আপনি তাহলে এগুলো মনে রাখবেন। যখন আপনি আমাকে বলবেন আবার এগুলো হচ্ছে কেন! 

আপনি কোথায় মামলা খেয়েছেন, কোথায় কি করেছেন, সবই জানি।‍‍` 

আরবি/জেডআর

Link copied!