গাজীপুরের কাপাসিয়া বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে অবৈধ দখলদারদের দাপটের কারণে তোহা, পেরী ফেরী বাজারের জায়গা বেদখল। দূর দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রি করতে এসে নির্দিষ্ট জায়গা না পেয়ে কম দামে ফরিয়া ও পাইকারদের নিকট পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে কৃষক বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায্য মূল্য হতে।
সরকারি ভাবে হাটবাজারে অবৈধ এসকল স্থাপনা উদ্ধার করতে গিয়েও রহস্যজনক কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। এ চিত্র শুধু কাপাসিয়া বাজারেই নয়, উপজেলার টোক, আড়াল, ঘাগটিয়ার চালা, বারিষাব, সিংহশ্রী, রায়েদ, বলখেলা, রাণীগঞ্জ তারাগঞ্জ ও ভাওয়াল চাঁদপুর বাজারেও লক্ষনীয়।
উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত কাপাসিয়া বাজারের অবস্থা সব চেয়ে সূচনীয়। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এ বাজারে এসে নানাবিধ কারণে বিপাকে পড়ার হাজারো অভিযোগ শুধু অভিযোগই রয়ে গেছে। কাপাসিয়া কাঁচা বাজার, মোদি, মনিহারি ও সাহু পট্টির ভিতর দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গায়ের জোরে আধিপত্য বিস্তার করে বেদখলের মাধ্যমে কাপাসিয়া কাঁচা বাজার ও তরগাাঁও কাপাসিয়া খেয়া নৌকা পারাপারের রাস্তাটিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কাঁচা ও তোহা বাজারে বিভিন্ন খালি জায়গা গুলো অবৈধ দখলের মাধ্যমে বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তিরা কেউ কেউ স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে কৃষকরা তাদের পন্য বিক্রি করার কোনো জায়গা পাচ্ছেনা। এমন কি কাঁচা বাজার, পেঁয়াজ রসুন, মাছ ও মুরগী বাজারে প্রভাব খাটিয়ে একই ব্যক্তি একাধিক ভিটি দখল করে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে। বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা পুরো বাজার এলাকায় অলিগলি দখল করে মালামাল রাখার কারণে বাজারে আগত সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না। কাপাসিয়া বাজারে আসা হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার একই অভিযোগ।
গতকাল সকালে উপজেলার তরগাঁও গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম মাঝি ও বরুন গ্রামের সাহাজ উদ্দিন তাঁদের জমিতে উৎপাদিত ৫০টি লাউ ও বেশ কিছু লাল শাক নিয়ে কাপাসিয়া বাজারে বিক্রি করতে এসে তোহা বাজারে জায়গা না পেয়ে ফরিয়াদের নিকট বাধ্য হয়ে কমদামে বিক্রি করে।
তারা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, কাপাসিয়া বাজারে কৃষকদের প্রতি এসব অবিচার দেখার কেউ নেই। এ বাজারে জোর যার মূলক তার বলে মন্তব্য করে প্রশাসনকে কৃষকরা যাতে বাজারে এসে অবাধে বসে ন্যায্য মূল্যে তাঁদের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করার সুব্যবস্থা পায় এ দাবি করেন।
কাপাসিয়া বাজারে বাজার করতে আসা ভূলেশ্বর গ্রামের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, কাপাসিয়া বাজার আগত ক্রেতারা বাজারের সাহু পট্রিসহ বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে নির্বিগ্নে হাটাচলার চলার মতো কোন সুযোগ পায়।এ বাজারে গুরত্বপূর্ণ সমস্যা গুলো গুরুত্ব সহকারে সমাধানের আহব্বান জানান স্থানীয় প্রশাসনকে।
উল্লেখিত, বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, তিনি এখানে নুতন, এছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাও নুতন, তবে কাপাসিয়া সদর বাজার সহ সকল বাজার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :