ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের কারাম পূজা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের কারাম পূজা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রামের ওরাঁও মহল্লায় কারাম উৎসব পালিত হয়।

কারাম গাছের ডাল কেটে এনে স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্ডপে পুঁতে রেখে পূজা-অর্চনা করেন ওঁরাও সম্প্রদায়ের লোকেরা। এরপর ঢাক ও ঢোলের তালে তালে নাচে গানে  শুরু হয় কারাম উৎসব। এ সময় পুরো এলাকা মুখরিত হয় কারাম উৎসবে। ওরাঁও ছাড়াও  হিন্দু, মুসলিম সহ সব সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত হয় পূজা উপভোগ করতে। মিলনমেলায় পরিণত হয় ওঁরাও পাড়া। 

কারাম একটি গাছের নাম। ওরাঁও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র গাছ। মঙ্গলেরও প্রতীক। প্রতি বছর বাংলা ভাদ্র মাসের শেষে ও আশ্বিনের শুরুতে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই গাছের ডালকে পূজা অর্চনা করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনি কেরকেটা ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা এখানে আদিকাল থেকে ও যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় কারাম পূজা ও উৎসব করে আসছি। মূলত: বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং ভালো ফসল উৎপাদন হওয়ার কামনায় এই পূজা আমরা করে থাকি।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান চৌধুরী বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় উৎসব হচ্ছে এই কারাম উৎসব। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করে কারাম গাছের ডাল যুগে যুগে তাদেরকে বিপদ-আপদ থেকে শুরু করে মহাপ্রলয় হতে রক্ষা করে। যার কারণে ভাদ্র মাসের শেষ দিন ও পহেলা আশ্বিনে তারা এই উৎসব পালন করেন। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই উৎসবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করেন। এটি এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহ অবস্থানের একটা সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

বিভিন্ন এলাকা হতে  আগত কারাম  উৎসব দেখতে আসা মানুষেরা জানান, একই রঙের পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে গ্রামের নারী পুরুষরা ঢোলের তালে তালে কারামের নৃত্য পরিবেশন দেখে তারা আনন্দিত ও খুশি। পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেউকেটার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ, সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রামের ওরাঁও মহল্লায় কারাম উৎসব পালিত হয়।

কারাম গাছের ডাল কেটে এনে স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্ডপে পুঁতে রেখে পূজা-অর্চনা করেন ওঁরাও সম্প্রদায়ের লোকেরা। এরপর ঢাক ও ঢোলের তালে তালে নাচে গানে  শুরু হয় কারাম উৎসব। এ সময় পুরো এলাকা মুখরিত হয় কারাম উৎসবে। ওরাঁও ছাড়াও  হিন্দু, মুসলিম সহ সব সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত হয় পূজা উপভোগ করতে। মিলনমেলায় পরিণত হয় ওঁরাও পাড়া।

কারাম একটি গাছের নাম। ওরাঁও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র গাছ। মঙ্গলেরও প্রতীক। প্রতি বছর বাংলা ভাদ্র মাসের শেষে ও আশ্বিনের শুরুতে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই গাছের ডালকে পূজা অর্চনা করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনি কেরকেটা ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা এখানে আদিকাল থেকে ও যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় কারাম পূজা ও উৎসব করে আসছি। মূলত: বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং ভালো ফসল উৎপাদন হওয়ার কামনায় এই পূজা আমরা করে থাকি।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান চৌধুরী বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় উৎসব হচ্ছে এই কারাম উৎসব। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করে কারাম গাছের ডাল যুগে যুগে তাদেরকে বিপদ-আপদ থেকে শুরু করে মহাপ্রলয় হতে রক্ষা করে। যার কারণে ভাদ্র মাসের শেষ দিন ও পহেলা আশ্বিনে তারা এই উৎসব পালন করেন। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই উৎসবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করেন। এটি এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহ অবস্থানের একটা সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

বিভিন্ন এলাকা হতে  আগত কারাম  উৎসব দেখতে আসা মানুষেরা জানান, একই রঙের পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে গ্রামের নারী পুরুষরা ঢোলের তালে তালে কারামের নৃত্য পরিবেশন দেখে তারা আনন্দিত ও খুশি।

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেউকেটার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ, সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবে ঢাক-ঢোলের বাজনায় নাচে গানে আনন্দ উপভোগ করে আদিবাসীদের পরিবার ও স্বজনরা। সঙ্গে যোগ দেন শিশু কিশোররাও।

বুধবার দুপুরে আবারও ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাম বৃক্ষের ডাল নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিয়ে  শেষ হবে কারাম উৎসব।
উৎসবে ঢাক-ঢোলের বাজনায় নাচে গানে আনন্দ উপভোগ করে আদিবাসীদের পরিবার ও স্বজনরা। সঙ্গে যোগ দেন শিশু কিশোররাও।

বুধবার দুপুরে আবারও ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাম বৃক্ষের ডাল নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিয়ে  শেষ হবে কারাম উৎসব।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!