ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

ডাক্তার হয়ে গরিবের সেবা করতে চান লাবিবা

ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

ডাক্তার হয়ে গরিবের সেবা করতে চান লাবিবা

উমাইয়া মেহজাবিন লাবিবা। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের মেয়ে উমাইয়া মেহজাবিন লাবিবা এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশে মেধা তালিকা অর্জন করেছেন। ভবিষ্যতে গাইনি অথবা মেডিসিন চিকিৎসক হয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চান তিনি। 

মেধাবী ছাত্রী উমাইয়া মেহজাবিন লাবিবা বলেন, মহান আল্লাহ পাক আমার সেই ইচ্ছার প্রথম ধাপ পূরণ করেছেন। ভবিষ্যতে আমি একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে এ দেশের এবং নিজ এলাকার অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চাই।আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল প্রশাসনিক কর্মকর্তা হব। একটু বড় হয়ে যখন গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখি গরিব অসহায় মানুষ অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, মৌলিক চাহিদা হিসেবে চিকিৎসা সেবাটুকু থেকেও অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন, তখন ছোটবেলার ইচ্ছা পরিবর্তন করে এসব গরিব-অসুস্থ মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। 

তিনি আরো বলেন, মূলত উচ্চ মাধ্যমিকে এসেই আমার ইচ্ছা হয় চিকিৎসক হয়ে এসব মানুষের সেবা করার। আসলে চিকিৎসক হয়েই গরিব অসহায় মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব, তাদের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব।

উমাইয়া মেহজাবিন লাবিবা বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার হাজংপাড়া গ্রামের মুন্সি বাড়ি। আমি নিজ গ্রামে থাকি নাই কারন পিতা ও মাতা দুই জনই চাকরি করে। পিতা উসমান গনি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাকরী করেন এবং মাতা হালিমা খাতুন ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। উসমান গনি ও হালিমা খাতুন দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে একমাত্র বড় মেয়ে উমাইয়া মেহজাবিন লাবিবা। দ্বিতীয় ছেলে লবি এসএসসি পরীক্ষার্থী বড় মেয়ে লাবিবা জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্যই পিতা উসমান গনি চাকরির পাশাপাশি পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন শহরের ভাড়া করা বাড়িতে।

উসমান গনি বলেন, এটা শুধু আমার নয়, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া বাসীর গর্ব। তার প্রতি আমার বিশ্বাসটা বেড়ে যায় যখন এসএসসিতে শিক্ষা বোর্ডে ভালো ফলাফল অর্জন করে। 

লাবিবার পিতা বলেন, আমি কখনও তাকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করিনি। শুধু বলেছি- তুমি যাই করবে, তা ভালোভাবে করতে হবে। যাই হোক, সে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে, আমি চাই সে একজন ভালো ডাক্তার হয়ে নিজ এলাকার ও দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করুক। এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় অর্জন করা প্রসঙ্গে লাবিবা বলেন, আমি কখনো পজিশন নিয়ে ভাবিনি, ভেবেছি প্রোগ্রেস নিয়ে। আমাকে ভালো করতে হবে- এই স্বপ্ন নিয়েই আমি চেষ্টা করেছি। তবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে আমার ভর্তির স্বপ্ন ছিল, মহান আল্লাহপাক আমাকে  জামালপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ চান্স পেয়েছি।

লাবিবা লেখাপড়া শুরু করেন ফুলবাড়িয়া পৌর সভায় অবস্থিত আল হেরা একাডেমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর ফুলবাড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে এসএসসি, তারপর এইচএসসিতে ফুলবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে সর্বোচ্চ রেজাল্ট লাভ করেন।

উল্লেখ্য যে, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি অর্জন করেন মেডিক্যাল এ চান্স পেয়েছে। সকালের কাছে দোয়া প্রার্থী আল্লাহ পাক যেন মানবিক চিকিৎসক হতে হিসেব তার মনের আশা পূরণ করে আমিন।

আরবি/জেডআর

Link copied!