সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ মাঠ দখল করে বসেছে পশুর হাট । হাটের দিন কলেজের ক্লাস বন্ধ রেখে চলে এই পশু হাটের বেচাকেনা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, নিয়মের তোয়াক্কা না করে হাটের সীমানার বাইরে প্রতি বৃহস্পতিবার নওগাঁর জিন্দানী ডিগ্রি কলেজ মাঠে ক্লাস বন্ধ রেখে পশুর হাট পরিচালনা করে ইজারাদার হাই চৌধুরী। কলেজ মাঠে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদার। কলেজ বন্ধ রেখেই দেধারছে চলছে পশু কেনাবেচা। এঅবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছেন শিক্ষার্থীরা।
জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বৃহস্পতিবার কলেজ মাঠে পশুর হাটের কারণে লোকজনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করাই মুশকিল। ছাত্রীদের পক্ষে হাটের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করা কেনোভাবেই সম্ভব নয়। সপ্তাহে একদিন কলেজ বন্ধ থাকায় পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছি আমরা। এসময় প্রশাসনের কাছে হাট বন্ধ করার অনুরোধও জানান শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনসারী বলেন, হাটের দিন বৃহস্পতিবার কলেজ খোলা রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু পশুর হাটে প্রচুর জনসমাগম ঘটে। এজন্য ছাত্রছাত্রী কম হয়। যারা যারা ঝুঁকি নিয়ে আসেন, তাদের নিরাপদে হাটের সীমানা পাড় করে দিতে হয়।
কলেজ বন্ধ রেখে পশুর হাট পরিচালনা করায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীও। নওগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নওগাঁ হাট-বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজনু সরকার বলেন, আমি বহুবার নিষেধ করেছি কলেজ মাঠে হাট বসানো যাবেনা। ইজারাদার মানতে নারাজ। সে তার প্রভাব খাঁটিয়ে হাট পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার হাই চৌধুরী বলেন, অনেক আগে থেকেই কলেজ মাঠে হাট বসে। আমরা ইজারা নেওয়ার পর প্রতি শুক্রবার কলেজ পরিষ্কার করে দেই। কোনো অসুবিধা হয় না।
কলেজ বন্ধ রেখে মাঠে হাট পরিচালনা করা যায় কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, কলেজ মাঠে পশুর হাট বসানোর কোনো বিধান নাই। যারা একাজ করছেন তারা প্রভাব খাটিয়ে এ কাজ করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, হাটের নির্ধারিত জায়গা ছাড়া এলাকার বাইরে কোনো হাট-বাজার বসানো যাবেনা, খাজনা আদায় করা যাবেনা। যারা আইন অমান্য করে এমন কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :