চাহিদা মতো চাঁদা না দেওয়ায় মাদারীপুরের রাজৈরে সৌদি প্রবাসীর বসতঘর দখল করে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাত প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। দু’দিন ধরে অন্যত্র থাকছেন ভুক্তভোগি বাইজীদ ফকির।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হরিদাসদি-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হরিদাসদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগি বাইজীদ ফকির হরিদাসদি-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। এ ব্যাপারে রাজৈর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।
একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে পারিবারিক কাজে বসতঘর তালা দিয়ে ঢাকায় যান সৌদিআরব প্রবাসী বাইজীদ ফকির। রাত ১০টার দিকে তিনি মুফোঠোনে খবর পান তার বসতঘর ভাংচুর করে আসবাবপত্র নষ্ট করা হয়। এরপর বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্থানীয় সাত প্রভাবশালী।
ভুক্তভোগী বাইজীদ ফকির জানান, হরিদাসদি গ্রামের শাহ আলম মাতুব্বর, নুর আলম মাতুব্বর, সজিব মাতুব্বর, এমদাদুল মুন্সি, পান্নু মোল্লা, ইয়াজল মাতুব্বর ও মফিজুল খান নামে সাত প্রভাবশালী ব্যক্তি বাইজীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই তারা। একপর্যায়ে সুযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে বাইজীদের বসতঘর ভাংচুরের পর তালাবদ্ধ করেন তারা। ঘটনার পর আতঙ্কে এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না বাইজীদ ফকির।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের একজন নুর আলম মাতুব্বর বলেন, বাইজীদের বড়ভাই বুলবুল ফকিরের সাথে জমির দলিল নিয়ে একটি ঝামেলা চলতেছিল। আমরা কয়েকজন মিলে শুক্রবার রাতে মীমাংসার জন্য বসি। সেখানে বাইজীদেরও আসার কথা ছিল। বাইজীদ উপস্থিত না হলে কয়েকজন মিলে তার বাড়িতে যায়, সেখানেও তাকে না পাওয়া গেলে চলে আসে সবাই। বাইজীদের বসতঘর কেউ ভাংচুর করেনি। আমাদের সাত জনের নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে পুরোটাই মিথ্যা। আমরা এলাকার লোকজন চাইছিলাম বিষয়টি মীমাংসা করতে, কিন্তু বাইজীদ উপস্থিত না হওয়ায় আর সম্ভব হয়নি।
রাজৈরের হরিদাসদি-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর মোল্লা বলেন, শুক্রবার রাতে হরিদাসদি এলাকায় একটু ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। আমি এলাকার বাইরে থাকায় বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিতে পারিনি। তবে, বাইজীদের সাথে ওই বড়ভাইয়ে ঝামেলা চলছে। শুক্রবার রাতের ঘটনাও তারই অংশ।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছে সৌদি প্রবাসী বাইজীদ। দু’পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :