শৈশব মানেই দুরন্তপনার একচ্ছত্র দুর্বার আধিপত্য। পার্থিব ভাবনার চিন্তা নেই, নেই কোন পিছুটান। আছে শুধু বাবা মা`র কাছে নানা বাহানায় হাজারও আবদার। সাপ্তাহিক গ্রামীন হাটের দিন বাবার কাছে সদাই, মুড়কি, মোয়া, মিঠাইয়ের আবদার যেন শৈশবেরই এক সঙ্গা। ধরতে গেলে যার আবদার নেই, তার শৈশবও নেই।
কিছুকাল আগেও শৈশবে পা রাখা ছেলে মেয়েরা হাটের মিঠাই মন্ডা, সদাই না পেলে সন্ধ্যায় পড়া লেখা আর হতো না। কিন্তু এখন হাতের নাগালে মুদি মনোহারির দোকানে প্যাকেটিং নানা মুখরোচক খাবারের আকৃষ্টতায় বিলীন হচ্ছে গ্রামীন হাটের মিষ্টি সদাইয়ের স্বাদ। গ্রামীন জনপদের নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের হাজারও ছেলে মেয়ে শৈশব কৈশোর পেরিয়ে যুবকে ছুঁই ছুঁই। তারা অনেকে বলতে পারেনা হাটের সদাই, মুড়কি, মোয়া, মিঠাই মন্ডা আসলে কেমন। কেউ কেউ স্বাদ অনুভব করলেও, বাবার কাছে দাবি করে চাওয়ার স্বাদটা সম্পূর্ণই হারিয়ে গেছে অনুভূতি থেকে।
যে বয়সে ছেলে মেয়ে বাবার কাছে ভালোবাসা দিয়ে সদাই চাওয়ার ইচ্ছা পোষন করতো বর্তমান সে বয়সেই সদাই নয় টাকা নেয়ার দাবি করে। পরিবেশের পরিবর্তন হয়, পরিবর্তন হয় সময়ের। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হয়েছে আহার, স্বাদ ও চাহিদার। সবই সময়ের প্রয়োজনে। আর সময় পরিবর্তন হয় বলেই শৈশবের হাজারও ঘটনা বর্তমান সময়ে হয়ে ওঠে শুধুই স্মৃতি।
আপনার মতামত লিখুন :