ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

বরগুনায় অগ্নিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম

বরগুনায় অগ্নিকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা বাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ঘষ্মিভূত হয়েছে দোকান ও বসতঘর। রাত সোয়া একটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে জানা গেছে। এতে প্রায় সোয়া কোটি টাকার ক্ষতি জেলা প্রশাসন থেকে জানালেও স্হানীয়র বলছে ক্ষতির পরিমাণ চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ও আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের অবস্হিত আয়লা বাজারের পূর্ব অংশে গভীর রাতে আগুন লাগে। শীতের রাত থাকায় সকলে তখন ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই ১২ টি দোকানে আগুন লেগে যায়। বিশ মিনিটের আগুনে সব কিছু চোখের সামনে পুড়ে যায় দোকান ও বসতস্হান।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পোলট্রি মুরগী ও মুদি মালামাল বিক্রেতা শাহআলম মৃধা বলেন, যখন আগুন লাগে তখন তিনি ও তাঁর পরিবার সহ ঘুমে ছিলেন। আগুন আগুন চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাহিরে বের হয়ে আসলে ঘরে ঢুকে আর কোন কিছু বাঁচাতে পারে নাই। দোকানের মধ্যে দুই শত মুরগী আর ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নগদ টাকা ও নয় ভরি স্বর্ণালংকার সব কিছুই আগুনে পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউনাইটেড বীজ কোম্পানির ডিলার মারুফ মৃধা। জেলার তরমুজ চাষীদের জন্য বীজ গতকাল দোকানটিতে এনেছিল সকল কিছু পুড়ে গেছে। বীজ বিক্রেতার ছোট ভাই রাশেদ মৃধা বলেন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা হতো। আগুনে পুড়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।

আয়লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার ননী জানান, তার ঘরের সামনে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে সকল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতো। আগুনে পুড়ে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। ঘরে যে ঘুমাবে সেই বালিশটি পর্যন্ত নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সহমর্মিতা জানাতে এসে সাবেক সংসদ সদস্য ফারজানা সুমী বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাধারণ ব্যবসায়ীরা সব কিছু হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকারের সহযোগিতা কামণা করেন তিনি। তারা এতবড় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনে রাত তিনটার সময় ঘটনাস্হলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে বেলা সাড়ে বারোটার সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন অগিকান্ডের ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি সকলকে এসময় সাবধানে থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্হদের মধ্যে ৩০ কেজি চাল, নগদ ১০ হাজার টাকা এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!