চায়ের রাজধানী খ্যাত হাওর ও পাহাড় অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। তবে গেল প্রায় মাস দিন থেকে এজেলার তাপমাত্রা ৮-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠা নামা করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. আনিছুর রহমান বলেন, আগামী ৫-৭ দিন তাপমাত্রা আরও নীচে নামতে পারে। এখন শীতে কাবু জেলার হাওর অঞ্চলের বোরোচাষী ও চা শ্রমিকসহ নিন্ম আয়ের গ্রামীণ জনপদের হতদরিদ্র মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন তারা। শীত থেকে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষায় উষ্ণ কাপড়ের সংকটে ভোগছেন তারা। এখন প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। নিজেদের সামর্থ্যনুযায়ী গরম কাপড় কিনতে দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ্যণীয়। দিনের মধ্যাহ্ন বেলায় সূর্যের তাপে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও বিকেল থেকেই শীত বাড়ছে। সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রামীণ জনপদ, হাওর ও চা বাগান এলাকায় প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। অনেক স্থানেই খড়কুটো জ্বালিয়ে মানুষজন শীত নিবারনের প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন। দূর্ঘটনা রোধে বিকেল থেকেই দূরপাল্লার গাড়িগুলো অনেকটা ধীরগতিতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছেন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যলয়ের তথ্যানুযায়ী জেলা জুড়ে বেড়ে চলেছে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ঠ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগবালাইয়ের দুর্ভোগে পড়ছেন। ঠান্ডা জনিত রোগবালায়ের কারনে জেলা ও উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অসুস্থরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা থেকে নিজেকে সুরক্ষা দিতে গরম কাপড় পরিধান করার পরামর্শ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। শীত মৌসুমের চলতি আবহাওয়ায় শিশু এবং বয়স্করা ঘর থেকে বের না হওয়া উত্তম। বিশেষ প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান ছাড়াও ধুলাবালি থেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ তাদের।
আপনার মতামত লিখুন :